মহারাষ্ট্রে মিলল ২০০০ বছরের পুরনো গোলকধাঁধার হদিস! জানুন এর বিশেষত্ব

Labyrinth

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মহারাষ্ট্রে প্রায় 2000 বছর পুরনো এক বিরল বৃত্তাকার গোলকধাঁধার (Labyrinth) হদিস মিলল। জানা যাচ্ছে, এই রহস্যময় কাঠামোটি সোলাপুর জেলার বরামানি ঘাসভূমিতে মিলেছে। কিন্তু কী বিশেষত্ব রয়েছে এর? আসলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এটি দেশের সর্বকালের সবথেকে বড় বৃত্তাকার পাথরের গোলকধাঁধা। জানুন বিস্তারিত।

কোথায় এবং কীভাবে আবিষ্কৃত হল?

আসলে স্থানীয় ন্যাচার কনসারভেশন সার্কেল নামের এনজিও সদস্যরা বনভূমি পর্যবেক্ষণ করার সময় এই অদ্ভুত পাথরটি দেখতে পান। পরে ডেকান কলেজ পুনের আর্কিওলজিস্ট সচিন পাটিল এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। এই কাঠামোটির আয়তন মোটামুটি 50 ফুট × 50 ফুট। আর এতে 15টি বৃত্তাকার চক্র রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এটি প্রায় 2000 বছরের পুরনো।

আরও পড়ুনঃ IPL-র আগেই চরম দুঃসংবাদ! মাথায় চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি KKR তারকা

সচিন পাটিলের মতে, এই গোলকধাঁধা থেকে প্রমাণ মিলছে, প্রাচীনকালে বরামানি অঞ্চলের টের ছিল রোমের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্রের মূল কেন্দ্র। আর এই ব্যবসায়ীরা সোনা, মদ বা অলংকারমূলক মূল্যবান পাথর রফতানি করতেন এবং মসলার ও রংয়ের বিনিময়ের তা গ্রহণ করতেন। অন্যদিকে ডেকান কলেজের আর্কিওলজি বিভাগের প্রধান পি.ডি. সাবালে জানিয়েছেন,  কল্যাপুর, করাদ ও টের অঞ্চল প্রাচীনকালে বিদেশি বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল। আর এখানে গ্রেকো-রোমান যুগের প্রশ্নতত্ত্বের নিদর্শনও মিলেছে।

আরও পড়ুন: হঠাৎ কাশ্মীর সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, মোতায়েন ড্রোন বিধ্বংসী ইউনিট! উদ্দেশ্য কী?

প্রসঙ্গত, এই আবিষ্কার আন্তর্জাতিক দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে। কারণ, যুক্তরাজ্যের Caerdroia জার্নালে ২০২৬ সালের সংস্করণে এর বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। আর জার্নালের সম্পাদক এবং গবেষক জেফ সাওয়ার্ড মন্তব্য করেছেন যে, এই গোলকধাঁধাটি ক্লাসিক্যাল পরিবারের অন্তর্গত তবে। তবে এর কেন্দ্রের স্পাইরাল বা ঘূর্ণনকার অংশ ভারতীয় বৈশিষ্ট্যযুক্ত যা চক্রবিউহ নামে পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এই আবিষ্কার প্রাচীন ভারতীয় গোলকধাঁধা শিল্প, বাণিজ্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যের উপরে বড়সড় প্রভাব ফেলবে।

Leave a Comment