সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ অবশেষে রেল যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল। হাওড়া-গয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Howrah–Gaya Vande Bharat Express) ট্রেনের স্টপেজ বাড়ল। এর জেরে উপকৃত হবেন রেল যাত্রীরা। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের চাহিদা বাড়ছে মানুষের। বর্তমানে এমন কোনও রাজ্য নেই যেখানে এই ট্রেন চলে না। বাদ যায়নি বাংলাও। এবার জানা যাচ্ছে, হাওড়া-গয়া ভায়া ধানবাদ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল। এই ট্রেনের স্টপেজ বাড়ানোর দাবি যাত্রীদের দীর্ঘদিনের ছিল। অবশেষে সেই দাবিতে শিলমোহর দিয়েছে রেল।
হাওড়া-গয়া বন্দে ভারত নিয়ে বড় পদক্ষেপ রেলের
রেল সূত্রে খবর, এখন সপ্তাহে তিন দিন ট্রেনটি নিউ গিরিডিহ রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে চলাচলের প্রস্তুতি চলছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কোডারমার সাংসদ অন্নপূর্ণা দেবীকে এই আশ্বাস দিয়েছেন। ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে আলোচনার সময়, সপ্তাহে তিন দিন নিউ গিরিডিহ হয়ে এটি চালানোর বিষয়ে একমত হয়েছে দুপক্ষ। যাইহোক, এই পদক্ষেপের ফলে গিরিডিহ, পরশনাথ এবং কোডারমা অঞ্চলের মানুষ লাভবান হবেন। এমনকি পর্যটকরাও এই নতুন পরিষেবার কারণে লাভবান হবেন বলে অনুমান।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রী বা সন্তানের নামে পোস্ট অফিসে করুন ১ লাখ ফিক্সড ডিপোজিট, মিলবে মোটা রিটার্ন
আরও একগুচ্ছ প্রস্তাব গেল রেলমন্ত্রীর কাছে
এছাড়াও, দেওঘর – জসিডিহ – বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে নিউ গিরিডিহ এবং কোডারমা হয়ে সপ্তাহে তিন দিন চালানোর প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য হল বাবাধাম, কাশী বিশ্বনাথ এবং পরশনাথের মতো প্রধান ধর্মীয় স্থানগুলিকে সংযুক্ত করে একটি শক্তিশালী আধ্যাত্মিক রেল করিডোর তৈরি করা। দিল্লি-গোড্ডা এক্সপ্রেসের ফ্রিকোয়েন্সি সপ্তাহে তিন দিন বাড়ানোর দাবিও উঠেছিল বলে খবর। কারণ ট্রেনটি বর্তমানে অতিরিক্ত ভিড় এবং দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্ট থাকার ফলে তালিকার কারণে যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে অক্ষম। রেলমন্ত্রী এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ নিজের বাড়ি থাকলেই মাসে মাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে দেড় লাখ টাকা! দুর্ধর্ষ প্রকল্প ব্যাঙ্কের
বৈঠকে গিরিডিহ – কোদারমা -মধুপুর রেল সেকশনের ডাবল-লাইনিং, স্টেশন সম্প্রসারণ, শেড নির্মাণ এবং পরশনাথ-গিরিডিহ সেকশনে যাত্রী সুবিধার উন্নতি সহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। এই অঞ্চলের শিল্প ও খনিজ সম্পদের গুরুত্ব বিশেষ করে কয়লা, মাইকা, পাথরের টুকরো এবং ডলোমাইট – তুলে ধরে জোর দেওয়া হয়েছিল যে উন্নত রেল অবকাঠামো রেলওয়ের রাজস্ব বৃদ্ধি করবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থান, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে নতুন গতি আনবে।