আজ থেকেই বাংলায় SIR-র হেয়ারিং! কোথায় হবে শুনানি, কী কী ডকুমেন্ট দরকার?

SIR Hearing

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজ্যে শেষ হয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর। এমনকি তার খসড়া তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। তবে আজ অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর, শনিবার থেকেই বাংলা জুড়ে ভোটারদের শুনানি প্রক্রিয়া (SIR Hearing) শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের দফতরে এ নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদেরই এই শুনানি পর্যায়ের প্রথম ধাপে ডাকা হবে। কিন্তু কোথায় কোথায় হবে শুনানি? কী কী ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখতে হবে? বিশদে জানুন আজকের প্রতিবেদনে।

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যেমনটা জানানো হয়েছে, এই শুনানির জন্য গোটা রাজ্যে ৩২,৩৩৪টি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। আর প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় গড়ে ১১টি করে শুনানি কেন্দ্র থাকবে। আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হচ্ছে এই শুনানি প্রক্রিয়া, এবং সেখানে সংশ্লিষ্ট ইআরও, এইআরও এবং কমিশনের নিযুক্ত একজন করে মাইক্রো রোল অবজার্ভার উপস্থিত থাকবেন বলে খবর।

কোথায় কোথায় হবে শুনানি?

এখনও পর্যন্ত যেটুকু খবর, কলকাতার বিভিন্ন সরকারি দফতর এবং কলেজ ভবনে এই শুনানি কেন্দ্র তৈরি করা হবে। আর জেলাগুলিতেও চলবে শুনানি। পাশাপাশি বিডিও অফিস এবং ব্লক স্তরের সরকারি দফতরগুলিতে শুনানি ক্যাম্প বসানো হবে। তবে হ্যাঁ, সংশ্লিষ্ট জেলার ডিইও-দের সঙ্গে নির্দিষ্ট কেন্দ্রের তালিকা সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন ইআরও-রা। কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, মাইক্রো অবজার্ভাররা গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। তবে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কেন্দ্রের তালিকাগুলি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়নি। চূড়ান্ত হলেই তা জানানো হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘রকগুরু’ জেমসের কনসার্টে ইটবৃষ্টি! আহত ২৫ থেকে ৩০ জন

কতজন ডাক পাবেন?

সূত্রের খবর, প্রথম দফায় মোট ৩১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪২৪ জনকে এই শুনানি পর্বে ডাকা হবে। আর তাদের জন্য ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শুনানি পর্ব চলবে রাজ্যের ৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। শুনানির সময় বাইরের কেউ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না। শুধুমাত্র ভোটার, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনরাই থাকবে বলে কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।

কোন কোন ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখতে হবে?

আগেই বলা হয়েছিল, যাদের ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম উঠবে না, তাদের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জারি করা ১১টি ডকুমেন্টের মধ্যে যে কোনও একটি দিতে হবে। কিন্তু আধার কার্ডকে গ্রহণ করা হবে না।,আধার কার্ডকে শুধুমাত্র পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসাবেই গণ্য করা হয়। বাকি ডকুমেন্টগুলি হল—

  • ১৯৮৭ সালের আগের ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস কিংবা এলআইসির কোনও ডকুমেন্ট,
  • সরকারি চাকরির কোনও আইডি কার্ড,
  • জন্ম সার্টিফিকেট,
  • পাসপোর্ট,
  • জাতিগত শংসাপত্র যেমন এসসি, এসটি বা ওবিসি,
  • মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের সার্টিফিকেট,
  • ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট,
  • স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া কোনও বাসস্থানের প্রমাণপত্র,
  • জমি কিংবা বাড়ির দলিল,
  • পারিবারিক রেজিস্টার সার্টিফিকেট এবং
  • এনআরসি সার্টিফিকেট।

আরও পড়ুন: উপকৃত হবেন পর্যটকরা, হাওড়াগামী বন্দে ভারত এস্কপ্রেসের সপ্তাহে তিনদিন স্টপেজ বাড়াল রেল

যাদেরকে শুনানিতে ডাকা হবে, তাদের এই ১১টি ডকুমেন্টের ভিতর যে কোনও একটি নথি নিয়ে উপস্থিত থাকলেই হবে। সেখানকার আধিকারিকরা ভোটার লিস্টের সঙ্গে তা ভেরিফাই করে চূড়ান্ত তালিকায় নাম তুলবে।

Leave a Comment