সৌভিক মুখার্জী, রামপুরহাট: পুলিশের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও মোবাইলে তুলে ভাইরাল করাই হল কাল। সেই অপরাধে এক ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটে (Rampurhat)। বর্তমানে ওই ব্যক্তি আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বীরভূম জেলা লরি মালিক সমিতি উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি সমালোচনাও কম হচ্ছে না পুলিশের এই কর্মকাণ্ড সামনে আসতে।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী খবর, এই ঘটনার সূত্রপাত সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, বীরভূমের রামপুরহাট থানা এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হোসেন সম্প্রতি দুটি লরি কিনেছিলেন। ওই মাসেই বালি বোঝাই করে লরিটি ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে অন্য জেলায় যাচ্ছিল। তবে পুলিশ সেই লরিকে আটক করে এবং ১,৪০,০০০ টাকা ঘুষের দাবি করে। এদিকে ওই ব্যক্তি রামপুরহাট থানায় সেই টাকা দিয়ে মোবাইলে গোপন একটি ভিডিও করে নেন এবং সেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন। তারপর থেকেই পুলিশ নাকি তাঁকে বিভিন্নরকম ভাবে হুমকি দিতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ সিন্ধু চুক্তি স্থগিতর পর চন্দ্রভাগার উপর নয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প! পাকিস্তানকে আরও চাপ ভারতের
এদিকে ১৪ অক্টোবর বীরভূম লরি মালিক সমিতির সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গ ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আনাস আহমেদ সিউড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। আর ওই বৈঠকের ভিডিও সাংবাদিকদের হাতেও তুলে দেন। তিনি বলেন, রামপুরহাট থানার ভিতরে একজন সিভিক ছিল, আর অন্যজন পুলিশের পোশাক পরে ছিল। তারা আইসি প্রসেনজিৎ ঘোষের নাম করে ওই লরি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিল। আমরা লিখিত আকারে জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টিকে জানাই। আর পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে ওই দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। তবে এরপর থেকেই পুলিশ এমদাদুল আর আমাকে বিভিন্নরকমভাবে হুমকি দেয় এবং আমরা বাধ্য হয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই।
আরও পড়ুন: মুছে যাবে কিছু ব্যাঙ্ক, ২০২৬-এ হতে পারে বড়সড় মার্জিং! RBI-র সাথে কথা বলছে সরকার
তবে এরপর পুলিশ বুধবার এমদাদুলকে বালি মাফিয়া এবং প্রতারকের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। এমনকি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। আমরা পুলিশের এহেন ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পুলিশের বিরুদ্ধে আমরা ফের উচ্চ আদালতে যেতে বাধ্য হব। এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, আইন মেনে সবকিছু হবে। ওনাদের কিছু বলার দরকার হলে উচ্চ আদালতে যেতে পারে। যা হওয়ার সেখানেই হবে।