কাকলির অভিযোগ ভিত্তিহীন! তৃণমূল সাংসদের পরিবারের সদস্যদের ডাকার কারণ জানাল কমিশন

Kakoli Ghosh Dastidar

সৌভিক মুখার্জী, বারাসত: ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়াকে ঘিরে এবার নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar) পরিবারের একাধিক সদস্যকে শুনানিতে ডাকার কারণে এবার নিজেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। যদিও তাঁর তোলা সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন আর বিভ্রান্তিকর বলেই দাবি করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর। কী দাবি করলেন সাংসদ?

কেন শুনানিতে ডাকা হয়েছে সাংসদের পরিবারকে?

নির্বাচন কমিশনের সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়ার খসড়া ভোটার তালিকায় কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের ৪ সদস্যের নাম না থাকার কারণে তাদেরকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। তালিকায় মূলত সাংসদের দুই ছেলে, ৯০ বছরের বৃদ্ধা মা এবং তাঁর বোনের নাম নেই। এমনকি ইতিমধ্যে তাঁদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে রিপোর্ট অনুযায়ী খবর।

আরও পড়ুন: লাইনচ্যুত সিমেন্ট বোঝাই মালগাড়ির ১২টি কোচ! ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা বিহারে

তবে শনিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার নিজেই অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন থেকে ভোটার হওয়া সত্বে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তিনি দাবি করেছেন, তিনি নিজেই ২০০৯ সাল থেকে টানা চারবার লোকসভার সদস্য। পাশাপাশি তাঁর স্বামী প্রয়াত সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন এবং দুই ছেলে সুপ্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। এসআইআর প্রক্রিয়ার আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করা হচ্ছে। যারা বছরের পর বছর ধরে এই বুথে ভোট দিয়ে আসছে, তাঁদের নাম হঠাৎ করে কীভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়ল?

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে থানার কোয়ার্টারে মহিলা হোমগার্ডের ঝুলন্ত দেহ! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

নির্বাচন কমিশনের পাল্টা জবাব

তবে সাংসদের অভিযোগের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। শনিবার বিকেলে অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তারা জানিয়েছে, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য আর বিভ্রান্তিকর। সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের আনম্যাপড ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে তাদের কোনওরকম সেলফ ম্যাপিং তথ্য পাওয়া যায়নি। আর নির্ভরযোগ্য যোগসূত্রের অভাব থাকার কারণে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে শুনানিতে ডাকা বাধ্যতামূলক ছিল।

Leave a Comment