সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মুম্বাইতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। মেয়ে মারাঠীর পরিবর্তে হিন্দিতে কথা বলার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মেয়েকেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করল মা (Mother Killed Her Daughter)! ঘটনাটি ঘটেছে নাভী মুম্বাই কালামবোলি এলাকার সেক্টর-১ এর গুরুসংকল্প হাউসিং সোসাইটিতে। জানা যাচ্ছে, ৩০ বছর বয়সী ওই মহিলা তাঁর ছয় বছরের মেয়েকেই হত্যা করেছে। হ্যাঁ, মারাঠির থেকে সে বেশি হিন্দিতে কথা বলত বলেই এই হত্যাকাণ্ড। ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্ত মা’কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
নিজের মেয়েকে হত্যা মায়ের
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত মহিলা, তাঁর স্বামী এবং মেয়ে গুরুসংকল্প সোসাইটিতে থাকতেন। তাঁর স্বামী একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার আর মহিলার বিএসসি ডিগ্রি রয়েছে। ২০১৭ সালে তাঁরা বিয়ে করেন আর ২০১৯ সালে তাঁদের মেয়ের জন্ম হয়। তবে পুলিশ বলছে, ছোটবেলা থেকে মেয়েটির বাকশক্তি কম ছিল, আর মারাঠির থেকে বেশি হিন্দিতে কথা বলত। এতেই শিশুটির উপর তাঁর মায়ের রাগ।
আরও পড়ুন: শিয়ালদা ডিভিশনের ১০০টি ট্রেনের সময় বদল করল পূর্ব রেল, দেখুন নতুন সময়সূচি
তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে, তাঁর মা এই বিষয়টি নিয়ে প্রায়শই বিরক্ত হতেন। এমনকি স্বামীকে বারবার বলতেন যে, শিশুটি ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না। পুলিশ মনে করছে, ২৩ ডিসেম্বর রাতে মহিলাটি ওই মেয়েকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওইদিন মেয়েটির দিদা তাঁর সাথে দেখা করার জন্য একটি গিফট নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে দিদা আর নাতনির দেখা হয়নি। কিছুক্ষণ পর স্বামী ফিরে এসে দেখেন যে মেয়েটি ঘুম থেকে উঠছে না। তৎক্ষণাৎ কিছু না বুঝতে পেরে হাসপাতালে নিয়ে যায় সে। তবে হাসপাতালের নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রাথমিকভাবে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডাক্তাররা হৃদরোগকেই দাবি করে।
আরও পড়ুন: যুবভারতী কাণ্ডে হাতে গীতা নিয়ে কোর্টে শতদ্রু দত্ত, কী বলল আদালত?
তবে কালামবোলি থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র কোটে বিষয়টিকে সন্দেহজনক বলেই মনে করেন আর তাঁর নির্দেশে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। তবে সেখানে শ্বাসরোধের চিহ্ন উঠে আসে। এরপর তাঁর বাবা-মাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টানা ৬ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহিলা সমস্ত কথা স্বীকার করে নেন এবং জানান যে, তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ইতিমধ্যেই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ আর তদন্ত জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ বিষয়টি আরও তদন্ত করছে।