৯৫.৬% শিক্ষিত, মিজোরাম ও গোয়ার পর এবার সম্পূর্ণ সাক্ষর রাজ্যের তকমা পেল ত্রিপুরা

Tripura Literacy Rate

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ত্রিপুরার মুকুটে এবার নয়া পালক। মিজোরাম এবং গোয়ার পর ত্রিপুরাকে দেশের তৃতীয় সম্পূর্ণ শিক্ষিত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হল। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজ্যের সাক্ষরতার হার ৯৫.৬ শতাংশে পৌঁছেছে (Tripura Literacy Rate)। আর যেহেতু ইউনেস্কোর নির্দেশিকা অনুসারে কোনও রাজ্য ৯৫% সাক্ষরতা অর্জন করলে সেটিকে পূর্ণ শিক্ষিত বলে ঘোষণা করা হয়, সেই কারণেই এবার বিরাট তকমা অর্জন করল ত্রিপুরা

শিক্ষার সাফল্যের মাঝেই রাজনৈতিক অশান্তি

শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্যের মধ্যে আবার এই রাজ্যের রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তেজনা। কারণ, ত্রিপুরা ট্রাইবুনাল এরিয়া অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং বিরোধী দল টিএমপি-র মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছে উভয় পক্ষের কর্মীরা। এমনকি একাধিক জায়গায় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে টিএমপি প্রধান এবং রাজ্যের প্রাক্তন রাজ পরিবারের উত্তরসূরী প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মা পুনরায় টিপ্রাসা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে সরব হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি আগামী নির্বাচনের আগে টিপ্রাসা শর্তগুলি কার্যকর না করা হয়, তাহলে তার দল এককভাবে নির্বাচনে লড়বে। বলে রাখি, ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে টিএমপি যে চুক্তি করেছিল, সেটাকেই টিপ্রাসা চুক্তি বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘মমতাকে বাংলাদেশিরাও ভরসা করে!’ সৌগত রায়ের বক্তব্যে উত্তাল রাজ্যের রাজনীতি

এদিকে প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মা কোকবরক ভাষার জন্য রোমান লিপি গ্রহণের দাবিও আবার তুলেছেন। আর এই বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। হ্যাঁ, টিএমপি সম্প্রতি ওয়ান নর্থ ইস্ট নামের একটি সম্মেলন আয়োজন করেছে। আর সেখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপি। এ বিষয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছেন, রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইল করে সরকারকে কোনওভাবেই চাপ দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন: শিয়ালদা ডিভিশনের ১০০টি ট্রেনের সময় বদল করল পূর্ব রেল, দেখুন নতুন সময়সূচি

শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান কী বলছে?

রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ১৯৬১ সালে এই রাজ্যের সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ২০.২৪%। ১৯৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০.৪৪%। এমনকি ২০০১৪ সালে ৭৩.১৯%, ২০১১-তে ৮৭.২২%, আর ২০২৩-২৪ সালে তা পৌঁছয় ৯৩.৭%-এ। অবশেষে এবার ৯৫.৬%-এ গিয়ে ঠেকল এই রাজ্যের সাক্ষরতার হার, যার জেরে এখন ত্রিপুরা সম্পূর্ণ স্বাক্ষর রাজ্য হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করল।

Leave a Comment