বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিনের সামরিক বাহিনীতে (China Army) চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা! শোনা যাচ্ছে, ড্রাগনের সবচেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন অর্থাৎ CMC-তে এবার বড়সড় রদবদল করলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ড্রাগনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সিনিয়র অ্যাডমিরাল মিয়াও হুয়াকে এবার তার ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, চিনের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে ও দেশের জাতীয় পারমাণবিক কর্পোরেশনের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ারকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে জিনপিং সরকার। তাহলে কি নতুন কিছু ঘটতে চলেছে চিনে? এবার কি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে চিনের সামরিক সদস্যরা?
কেন হঠাৎ দুই বড় পদাধিকারীকে সরাল চিন সরকার?
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমাগত ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে ড্রাগন। মোতায়েন করা হচ্ছে চিনা সৈন্যদের। এমতাবস্থায়, দেশের সেনাবাহিনীতে দুর্নীতির খবর পেতেই তড়িঘড়ি দুর্নীতি দমন অভিযানের অংশ হিসেবে পিপলস লিবারেশন আর্মি ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন থেকে দুই উচ্চ পদাধিকারীকে বরখাস্ত করেছে চিন সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, চিনের সামরিক কমিশনে রাজনৈতিক কর্ম বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মিয়াও হুয়া। এক কথায়, তাঁর কাজ ছিল সেনাবাহিনীতে আদর্শ এবং আনুগত্য নিশ্চিত করা। তবে সূত্রের খবর, হুয়াকে নিয়ে নাকি দীর্ঘদিন ধরে একাধিক অভিযোগ পাচ্ছিল জিনপিং সরকার।
অবশ্যই পড়ুন: নেই কামিংস, স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণা! প্রকাশ্যে মোহনবাগানের সর্বকালের সেরা একাদশ
জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে অভিযোগ রয়েছে PLA-প্রাক্তন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও। তাই তড়িঘড়ি সেনাবাহিনী সহ কমিশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দুই পদাধিকারীকেই বরখাস্ত করেছে শি সরকার।
চিনের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যে দুজন ব্যক্তিকে তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে, জানা যায় প্রেসিডেন্ট জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর তিনি নিজেই তাঁদের কাজে নিয়োগ করেছিলেন। তবে অবশেষে দুর্নীতির অভিযোগে সেই শিয়ের হাত ধরেই ক্ষমতা হারালেন দুজন। আর এরপরই প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে এবার কি দুর্বৃত্তদের বিক্ষোভের মুখে পড়বেন চিনের প্রেসিডেন্ট? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরাও।