বিজেপিকে হারাতে অঘোষিত জোট বাম-তৃণমূলের! অবাক কাণ্ড পূর্ব মেদিনীপুরে সমবায় ভোটে

TMC And CPM Alliance

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে রীতিমত ভোটপ্রচারকে কেন্দ্র করে হুড়োহুড়ি পরে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। এমতাবস্থায় অবাক কাণ্ড ঘটল চণ্ডীপুর বিধানসভার গোবর্ধনপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে৷ বিজেপিকে হারাতে রীতিমত জোট বাঁধল বাম-তৃণমূল (TMC And CPM Alliance)! তবে সেই নির্বাচন ফলাফলকে বেমালুম গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।

সব আসনেই জয়লাভ তৃণমূল-বামেদের

জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার, চণ্ডীপুর বিধানসভার গোবর্ধনপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে মোট ৯টি আসনে লড়াই শুরু হয়েছিল৷ সেখানে ভোটার আছেন প্রায় ৯৫০ জন। সমবায় নির্বাচনগুলিতে কোনও রাজনৈতিক দল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটে লড়েন। এবার সেই নির্বাচনেই বড় ধাক্কা খেতে হল গেরুয়াকে। দেখা গেল এই ৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সাতটি আসনে লড়াই করেছিল ৷ দুটি আসনে লড়েছিল বাম সমর্থিত প্রার্থীরা৷ অন্যদিকে এই ৯ আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি সমর্থিত প্যানেল। সেক্ষেত্রে অবাক করা বিষয় হল এই ৯টি আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামেদের জোট প্রার্থীরা৷ একদমই খাতা খুলতে পারল না বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ সমস্যার সমাধান হবে নিমিষে, পাসপোর্ট অফিসের মতো পরিষেবা শুরু করল EPFO

কী বলছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব?

এদিকে সমবায় ভোটে বাম এবং তৃণমূল উভয় পক্ষের প্রার্থীরাই ‘সমবায়ী সমন্বয় কমিটি’-র ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সেক্ষেত্রে সমবায় ভোটের জন্য বাম এবং তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা এক ছাতার তলায় এলেও, এটিকে সরাসরি কোনও ‘জোট’ বলে স্বীকার করতে নারাজ বাম-তৃণমূল পক্ষ। জেলার সিপিএমের চণ্ডীপুর অঞ্চলের সংগঠনের আহ্বায়ক আশিস গুছাইত জানিয়েছেন, সমবায় সমিতির ৯টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে প্রথমে মনোনয়ন জমা দেন তাঁদের প্রার্থীরা৷ কিন্তু বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনজন প্রার্থী পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন৷ তবে দু জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি৷ আর সেই সময়ে তৃণমূলের তরফে সমবায়ী সমন্বয় কমিটির জোট ঘোষণা হলেও আমরা দলীয় ভাবে দুই প্রার্থীকে নিয়ে জোট করিনি।”

আরও পড়ুন: প্রকল্প শেষ হলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে! পোস্ট অফিস নিয়ে নতুন অভিযোগ

প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকেই চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে রয়েছে৷ সম্প্রতি সেখানে বাম-তৃণমূল পক্ষের জোট নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের চণ্ডীপুর ব্লক সভাপতি স্নেহাংশুশেখর পণ্ডিতও প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, “এখানে সমবায়ী সমন্বয় কমিটির ব্যানারে লড়াই হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৭ জন কট্টর তৃণমূল। বাকিরাও সমবায়ের উন্নয়নে শামিল। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের লক্ষ্যেই ভোট হয়েছে।” যদিও এই জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব৷ তাঁদের দাবি, এই জোট অথবা সমবায় ভোটের ফলের কোনও প্রভাব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে না৷

Leave a Comment