সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের অন্যতম প্রাচীন আরাবল্লী পাহাড় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিতর্ক। তবে এবার বড় পদক্ষেপ নিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court on Aravalli)। হ্যাঁ, এই পাহাড়ের সঠিক সংজ্ঞা এবং খনন সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্কে শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল। প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানি করবে বলে জানানো হয়েছে। উক্ত বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী এবং অগাস্টিন জর্জ মসিহ। এমনকি আদালত এই মামলায় মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
আগের রায় স্থগিত
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট এই মুহূর্তে গত ২০ নভেম্বরের রায় সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। আর ওই রায়ে আদালত আরাবল্লী পর্বত এবং পাহাড়শ্রেণীর জন্য একটি একক এবং বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা অনুমোদন করেছিল, এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দিল্লি থেকে শুরু করে হরিয়ানা, রাজস্থান এবং গুজরাট জুড়ে নতুন খনন লিজ দেওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি নতুন করে এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে ২১ জানুয়ারি।
বলে রাখি, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করে আদালত আগে জানিয়েছিল, আরাবল্লী জেলাগুলিতে অবস্থিত ভূমি থেকে ১০০ মিটার কিংবা তার বেশি উচ্চতার যে কোনও ভূমিরূপকে আরাবল্লী পাহাড় হিসেবেই গণ্য করা হবে। পাশাপাশি ৫০০ মিটারের মধ্যে থাকা দুটি কিংবা তার বেশি পাহাড় একসঙ্গে আরাবল্লী পাহাড় শ্রেণী হিসেবে বিবেচিত হবে। এদিকে পাহাড়ের ঢাল, আশেপাশের জমি, ভূমিরূপ এবং দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী এলাকাগুলোকেও এই সংজ্ঞার আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: দুয়ারে দার্জিলিং, ঠান্ডায় কাঁপাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলা! কনকনে শীতে কাবু মানুষ
প্রসঙ্গত, এই মামলা আসলে বহুদিন ধরে চলা টিএন গডাভরমন থিরুমুলপাদ বন সংরক্ষণ মামলার সঙ্গে যুক্ত। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় উনিশ পাতার বিস্তারিত রায়ও দিয়েছিল। আর সেই রায়ে জানানো হয়েছিল যে, সংরক্ষিত এবং সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে খনন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক বা টেকসই খননের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তুমি অবৈধ খনন বন্ধ করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি কোথায় সম্পূর্ণ খনন নিষিদ্ধ এবং কোথায় খননের অনুমতি দেওয়া হবে, সেগুলোকেও নির্দিষ্ট করতে হবে। এখন দেখার, সুপ্রিম কোর্ট আগামী শুনানিতে কোন পদক্ষেপের পথে হাঁটে।