প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আবার ধস (Landslide Again In Ondal Area) নামল পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালে! শীতের ভোরে বিকট শব্দ পেয়ে রীতিমত প্রাণ যায় যায় অবস্থা সকলে। তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরোতেই চোখ কপালে উঠল বাসিন্দাদের। বিকট শব্দ এবং ধসের জেরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। আর এই অবস্থায় ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের দিকে আঙুল তুলল শাসকদল।
ফের ধস অণ্ডাল এলাকায়
রিপোর্ট মোতাবেক, গতকাল অর্থাৎ রবিবার ভোর প্রায় পাঁচটা নাগাদ বোমা ফাটার মতো প্রচন্ড শব্দ হয় পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের খাস কাজোড়া এলাকায় খনি অঞ্চলে। বসতি এলাকা থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে বিশাল জায়গা জুড়ে ধস নেমেছে। কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে ফাটলও ধরে। আতঙ্কে সেগুলির বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ইসিএল আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, প্রায় দেড়শো মিটার জায়গা জুড়ে ধস নেমেছে। ওই জায়গাকে বিপজ্জনক চিহ্নিতকরণের ফিতে দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় আছেন ইসিএলের কর্মীদের আবাসনও। ঘটনাস্থলে যান জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি বিষ্ণুদেও নুনিয়া।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে দার্জিলিং, ঠান্ডায় কাঁপাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলা! কনকনে শীতে কাবু মানুষ
ESL এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
ধস কবলিত এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা তথা ESL-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি বিষ্ণুদেও নুনিয়া। তিনি বলেন, “ঠিকভাবে কয়লা উত্তোলন করার পরে বালি দিয়ে সঠিক ভাবে ভরাট না-করার জন্য বেশ ধস নামছে। এদিকে ইসিএল শুধু ধসের জায়গায় মাটি ভরাট করে দায় সারছে। স্থায়ী সমাধান করছে না।” তাঁর অভিযোগ, দু’-তিন মাস আগেও সরষডাঙা এলাকায় ধস নেমেছিল। সেখানে প্রায় ৮-১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দু’-তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত করে দেখা হোক। তার পর কী ভাবে এই সমস্যা আটকানো যায়, তার তদন্ত হোক।’’
আরও পড়ুন: কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে এখনই জামিন নয়! উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের খাস কাজোড়া কোলিয়ারি ম্যানেজার প্রভাকর পাশওয়ান বলেন, “এখানে আগে একটা কোলিয়ারি ছিল। ওই কোলিয়ারির গভীরতা কম থাকায় ধসের ঘটনা ঘটছে। আশপাশের বাসিন্দাদের ইসিএলের আবাসনে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” স্বাভাবিক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ধসের জেরে যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁদের এখন কি হবে সেই নিয়ে বেশ চিন্তায় আছে সকলে। তবে এ বিষয়ে ইসিএলের তরফে কোন সরকারী প্রতিক্রিয়া মেলেনি।