প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২ অথবা ৩ ঘণ্টা নয়, টানা ৩২ ঘণ্টা জ্যামে (Traffic Jam) ফেঁসে রয়েছে একাধিক গাড়ি! টানা আট কিলোমিটার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। যার জেরে আটকে থাকল প্রায় ৪ হাজার গাড়ি। আর এই ভয়ংকর ট্র্যাফিক জ্যামেই এবার মৃত্যু হল তিনজনের। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। আর এই ঘটনায় এবার প্রশাসনের ভূমিকা এবং তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঘটনাটি কী?
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই যানজট শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। ধীরে ধীরে সেই ট্রাফিক জ্যাম আরও বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে আটকে গিয়েছে ৪ হাজার গাড়ি। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা অবস্থা। এদিকে জ্যামে আটকে অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্দীপ প্যাটেল নামে এক ব্যাক্তি।
কোনরকমে তাঁকে ওই জ্যাম থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেও যাওয়ার পথেই হৃদরোগে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৩২। তবে তিনি শুধু একা নন, এই জ্যামে আটকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের।
৩২ ঘণ্টার জ্যামে মৃত্যু হল ৩ জনের
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩২ ঘণ্টার এই মারাত্মক জ্যামে, গত শুক্রবার সকালে ৫৫ বছরের বলরাম প্যাটেল ও ৬২ বছরের কমল পাঞ্চাল নামে আরও দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের দু’জনকেও উদ্ধার করে স্থানীয়, হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তি কমল পাঞ্চালের ছেলে বিজয় জানিয়েছেন যে, “দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রাফিক জ্যামে আটকে ছিলাম। হঠাৎ করেই বাবা অসুস্থ বোধ করেন। গাড়িতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বাবার।”
আরও পড়ুন: রিজার্ভেশন চার্ট নিয়ে যাত্রীদের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত রেলের
ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা
এদিকে প্রায় সই দীর্ঘ যানজটের কারণে রাগে মেজাজ হারিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অপারগ স্থানীয় প্রশাসন। কারণ, একদিকে ছয় লেনের রাস্তার কাজ চলছে। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাত। তাতেই বেশ কিছু জায়গায় জল জমে যায়। এরফলেই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই তড়িঘড়ি পুলিশ ও পূর্ত দপ্তর বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেই যানজট নিয়ন্ত্রণে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।