সৌভিক মুখার্জী,কলকাতা: হঠাৎ ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে (Bangladesh High Commissioner) বাংলাদেশে ডেকে পাঠাল দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার রাতেই দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁকে হঠাৎ করে ডেকে পাঠাল? ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কী আবারও নতুন মোড় নেবে? নাকি নেপথ্যে কোনও কূটনৈতিক পদক্ষেপ কাজ করছে? জানুন বিশদে।
দিল্লি থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠাল ঢাকা
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ মন্ত্রক থেকে জরুরী বার্তা পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে। সেই মতোই সোমবার রাতের দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরে যান রিয়াজ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে চলা সাম্প্রতিক অরাজকতা নিয়েই হয়তো কোনও বৈঠকের জন্য ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। যদিও এখনও আসল কারণ স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুনঃ কনকনে শীতের মাঝেই ৩ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আজকের আবহাওয়া?
এদিকে হাসিনাকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরেই ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিয়ে ঠেকছে। আর সেই সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গত দুই সপ্তাহে আরও বেশি। কারণ, ওপার বাংলায় একের পর এক সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারে সরব হয়েছিল ভারত। এমনকি সেখানকার এক শ্রেণীর নেতারা ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক মন্তব্য করেই চলেছে। যাতে দুই দেশের সম্পর্কের কোন্দল আরও বাড়তে থাকে। পাশাপাশি হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জলঘোলা কম হয়নি। অশান্তি থেকে শুরু করে সংবাদপত্রের অফিসে ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। আর সব থেকে বড় ব্যাপার, হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত খালেদা জিয়া, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে বাংলাদেশে শোকের ছায়া
এমনকি এদিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু দফতরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল দেখা যায়। আর সেই পরিস্থিতিতে ও দেশের বেশ কিছু ভিসা কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতের বেশ কিছু জায়গার হোটেলে বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দীপু হত্যার বিচারের দাবিতেই বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফ থেকে। এমনকি ভারতের মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে খারিজ করেছে ইউনূস। তবে এহেন পরিস্থিতির মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর পিছনে বড়সড় কোনও ইঙ্গিত রয়েছে কিনা সেদিকেই থাকবে নজর।