প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বাজতে চলছে শীঘ্রই, তাই সময় নষ্ট না করেই তড়িঘড়ি ভোট প্রচারের নানা কৌশল আটতে বসে গিয়েছে রাজনীতিবিদরা। এমতাবস্থায় ফের তিন দিনের সফরে বাংলায় এসেছেন অমিত শাহ। তবে জনসভা নয়, করবেন সাংগঠনিক বৈঠক। আজ তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গের সরকারকে নিয়ে একাধিক সমালোচনা করেছেন। শুরুতেই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন SIR নিয়ে। তবে চুপ থাকেনি মমতা (Mamata Banerjee)। পাল্টা বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় প্রাক নির্বাচনী জনসভায় সুর চড়ালেন তিনিও। নিশানা করলেন শাহকে।
জমি নিয়ে শাহকে তোপ মমতার
রিপোর্ট মোতাবেক আজ বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই সংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এনেছিল তার বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দেন মমতা। প্রথমেই তিনি জমি নিয়ে অভিযোগের জবাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”রাজ্যে এসে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি দেয়নি। জমি না দিলে তারকেশ্বর, বিষ্ণুপুর লাইন কে করে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে গেছে। জমি না দিলে ইসিএলের জমিগুলি কয়লা তোলার জন্য কথা থেকে আসত।” পাশপাশি এদিন তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় জমি যে দেওয়া হয়েছে তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দুঃশাসন বলে কটাক্ষ মমতার
বাঁকুড়ার সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেন,” ভোট এলেই দুর্যোধন, দুঃশাসনরা আসেন। ওঁদের চোখে দেখবেন, দু’চোখে দেখলেই আতঙ্ক হবে। এই বুঝি কিছু ক্ষতি করতে এল রে। দুঃশাসনবাবু এসেছেন, শকুনি মামার চ্যালা। ” শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ”বাংলাতেই শুধু অনুপ্রবেশ হচ্ছে? কাশ্মীরে হচ্ছে না। তাহলে পহেলগাঁও হামলা কে করল? দিল্লি বিস্ফোরণ কে করল? আপনারা করলেন?”
আরও পড়ুন: ৪০০০ টাকা দাম কমল সোনার! রুপোর কী হাল?
প্রসঙ্গত, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে SIR আবহে রাজ্যে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এমন সময়ে আজ সাংবাদিক বৈঠকে দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ ও আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বেনজির আক্রমণ করলেন অমিত। তাঁরই প্রতি উত্তরে বাঁকুড়ার সভা থেকে বেনজির নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা যেন আরও প্রকট হল। অন্যদিকে SIR এর খসড়া তালিকায় যাদের নাম বাদ গেছে তাদের ফের আবেদন করার জন্য ৭ নম্বর, ৮ নম্বর ফর্ম ফিল-আপ করার আবেদন করেন তিনি।