১৮২ কিমি স্পিডে ছুটল বন্দে ভারত স্লিপার, অক্ষত রইল গ্লাসের জল! বিরাট মাইলফলক ছুঁল রেল

Vande Bharat Sleeper

সহেলি মিত্র, কলকাতা: সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ছুটল বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Vande Bharat Sleeper)। তাও কিনা ১৮২ কিমি স্পিডে ছুটল ট্রেনটি যা কিনা রেকর্ড। গত ৩০ ডিসেম্বর ভারতীয় রেলওয়ে হাইস্পিড ট্রেনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে।  নয়াদিল্লি-মুম্বাই রুটে নতুন বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের বহু প্রতীক্ষিত ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে কি নতুন বছরেই সাধারণ মানুষের জন্য এই ট্রেনের দরজা খুলে দেওয়া হবে? চলুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

১৮২ কিমি স্পিডে ছুটল বন্দে ভারত স্লিপার

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেলওয়ে রতলামের মাধোপুর-কোটা-নাগদা সেকশনে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই এই কৃতিত্বের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন এবং ভিডিওটি এখন ভাইরাল হচ্ছে। এই সফল পরীক্ষার পর, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নতুন বন্দে ভারত ট্রেনটিকে একটি নতুন প্রজন্মের ট্রেন হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যা স্লিপার ট্রেন ভ্রমণের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।

আরও পড়ুনঃ দক্ষিণবঙ্গে আরও তীব্র শীতের কামড়, ৩ জেলায় শৈতপ্রবাহের সতর্কতা, আজকের আবহাওয়া

ভিডিও শেয়ার রেলমন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সফল পরীক্ষার একটি ২৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার বন্দে ভারত স্লিপারের ট্রায়াল রান পরিদর্শন করেছেন। কোটা-নাগদা অংশে ট্রেনটি ১৮০ কিমি/ঘন্টা বেগে ছুটেছে। জল পরীক্ষায় এই নতুন প্রজন্মের ট্রেনটির প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে।” ভিডিওটিতে মোবাইল স্ক্রিনে ট্রেনের গতি ১৮২ কিমি/ঘন্টা বেগে পৌঁছাতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, ট্রেনটি যখন ১৮২ কিমি স্পিডে ছুটছে, তখন একটার উপর আরেকটা গ্লাস রয়েছে। তবে সবথেকে অবাক করা বিষয় হল, সেই সময় কোনও গ্লাস থেকেই জল পড়ছে না।

স্লিপার ট্রেনের বিশেষত্ব

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এই সফল পরীক্ষার আরেকটি বিশেষ দিক হল, প্রতি সেকেন্ডে ১৮২ কিমি বেগে পিছলে যাওয়ার পরেও, ট্রেতে রাখা ৪টি গ্লাসের কোনওটি থেকে এক ফোঁটাও জল পড়েনি। বর্তমানে চলমান বন্দে ভারত ট্রেনগুলি, সমস্ত চেয়ার কার ট্রেন, এর নকশা গতি ১৮০ কিমি/ঘন্টা কিন্তু সর্বোচ্চ কর্মক্ষম গতি ১৬০ কিমি/ঘন্টা। তবে, একটি ট্রেনের গড় গতি ট্র্যাকের জ্যামিতি, রক্ষণাবেক্ষণ এবং রুটে থামার সংখ্যার উপরও নির্ভর করে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে ছুটতে পারে এই ট্রেন।

Leave a Comment