মেয়ের মৃত্যুতে অবসাদগ্রস্ত তামান্নার মা! ঘুমের ওষুধ খেয়ে সুইসাইডের চেষ্টা

Nadia

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সন্তান হারানোর শোক যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা প্রকাশ করা বড়ই কঠিন। তছনছ করে দেয় বাবা মায়ের জীবন, আর এমনই এক যন্ত্রণায় দিন কাটছে নদীয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের নিহত নাবালিকা তামান্না খাতুনের মা সাবিনা ইয়াসমিনের। কয়েক মাস আগে নদিয়ার কালীগঞ্জে উপনির্বাচনে ফল ঘোষণার দিন তৃণমূলের বিজয়োৎসব থেকে ছোড়া বোমায় মারা যায় নাবালিকা তামান্না খাতুন। সেই ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তামান্নার মা। আর তার জেরেই এবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তিনি।

ঠিক কী ঘটেছিল?

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন, কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল প্রার্থী। আর তাই বিজয় উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ই ঘটে যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় ছোট্ট তামান্নার। হাহাকার নেমে আসে পরিবারে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ঘটনায়। তবে পরিবারের দাবি, মোট ২৪ জন অভিযুক্ত, কিন্তু অনেকেই এখনও ধরা পড়েনি, আর এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় ভয়। এদিকে মেয়ের মৃত্যু যন্ত্রণায় রীতিমত অবসাদগ্রস্ত তামান্নার মা। দিনের পর দিন এই অবস্থায় থাকতে থাকতে এবার ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ সোনা, রুপোর দামে বড় ধস! খুশির জোয়ার মধ্যবিত্তদের মনে, আজকের রেট

আত্মহত্যার চেষ্টা তামান্নার মায়ের

প্রতিবেশী এবং পরিবার সূত্রের খবর, প্রতিমুহূর্তে তামান্নার স্মৃতি তাড়া করছে সাবিনাকে। তাইতো দীর্ঘ অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এই অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার নাকি একাধিক ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন তামান্নার মা। বাড়ির লোক অনেকবার ডাকাডাকি করলে সাড়া না মেলায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এই আবহে পরিবারের দাবি, দ্রুত বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: রেশন নিয়ে বড় মন্তব্য মমতার, পাল্টা ধেয়ে এল কটাক্ষও

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কালীগঞ্জের নিহত তামান্না খাতুনের পরিবার। সূত্রের খবর, আদালতের কাছে সিবিআই তদন্ত চেয়েছে পরিবার। কিন্তু তারপরও পেরিয়েছে বহুদিন, সেই নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এদিকে দিনের পর দিন অপেক্ষাবকরে চলেছে পরিবার। তামান্নার কাকা রবিউল শেখ বলেন, “মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই দিদি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ২৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে অনেকেই বাইরে ঘুরছে। যাদের ধরা হয়েছে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আবার হামলা করতে পারে।”

Leave a Comment