প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, তাই এখন থেকেই নির্বাচনের ময়দানে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রতিবছর ভোটের আগে তাঁদের নানা কার্যকলাপের দৃশ্য ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমে। কখনও ভালো কাজ তো কখনও মন্দ কাজ। এমতাবস্থায় তৃণমূল সরকারের আরও এক অন্ধকার রূপ তুলে ধরল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন ক্যানিং এ মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ভিডিও।
নারী নিরাপত্তা নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ দুপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন মহিলাকে কয়েকজন ব্যক্তি লাঠি দিয়ে মারধর করছেন। ওই পোস্টের মাধ্যমে শুভেন্দু দাবি করেছেন যে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে কোনো নারীই নিরাপদ নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং মহকুমার বাসন্তী ব্লকের উত্তর ভাঙনামারি গ্রামে জলিল লস্কর, মুন্না লস্কর, আরিফ লস্কর এবং আরও কয়েকজন দিনের আলোতে বাঁশ ও বড় লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকজন মহিলার ওপর নির্মমভাবে মারধর করেছে। যা খুবই নিন্দনীয়।”
No woman is safe in Mamata Banerjee’s West Bengal !!!
Disturbing visuals from Uttar Bhangnamari village at Basanti Block in the Canning Subdivision of South 24 Parganas district.As per the complainant’s accusation Jalil Laskar, Munna Laskar, Arif Laskar and others brutality… pic.twitter.com/mGdniGgYY7
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) December 31, 2025
আরও পড়ুন: স্বপ্নে বাজছে রেডিও! শোনা যাচ্ছে ভয়েস নোট, থানায় অভিযোগ নদিয়ার ব্যক্তির
শিল্প নিয়েও বাম তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী এদিন তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন যে “আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই নারীবিদ্বেষী রাজ্য সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে হবে।”এদিকে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। অন্যদিকে আজই শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের পতনের চিত্র তুলে ধরেন শুভেন্দু। এক্স বার্তায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি পশ্চিমবঙ্গে প্রথমে বামফ্রন্ট ও পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে লুটপাঠের কারণে শিল্প তলানিতে ঠেকেছে। তিনি জানিয়েছেন, “ ১৯৬০ সালে তৃতীয় স্থান থেকে আজ লজ্জাজনক ভাবে ২৪ নম্বরে। শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, চাকরি হারিয়ে গেছে, স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এখন প্রকৃত পরিবর্তনের সময়। বিজেপি বাংলার গৌরব পুনরুজ্জীবিত করবে।”