প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাত পোহালেই ২৬ এর আগমন, আর তারপরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই আবহে ভোট প্রচারের প্রস্তুতিতে বেশ ব্যস্ত সকলে। জনসাধারণের আগ্রহ বাড়াতে রীতিমত উঠে পড়ে লেগেছে সকলকে। এমন অবস্থায় হুগলিতে হুমায়ুনকে (Humayun Kabir) ঘিরে বিরাট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চারিদিকে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আর শেষ পর্যন্ত এই উত্তেজনার চাপে বেরিয়ে গেলেন হুমায়ূন।
ঠিক কী ঘটেছে?
রিপোর্ট মোতাবেক আজ অর্থাৎ বুধবার, হুগলির দাদপুরের পুইনামে ইজতেমাস্থলে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়েন ভরতপুরের বিধায়ক তথা জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবীর। জানা গিয়েছে সেখানে তিনি নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঢোকার মুখেই মহেশ্বরপুরে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। পরে যে স্থানে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা, অর্থাৎ পুইনানে, সেখানে যাওয়ার পরও তাঁকে আরও একবার বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে গো-ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
কী বলছেন হুমায়ূন?
হুগলিতে এই ঘটনার জেরে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু প্রধান একটা এলাকার জনপ্রতিনিধি আমি। সেখানে আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রার্থী ইব্রাহিম হাজি তাদেরকে সরালেন। কিন্তু প্রশাসন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। একজন বিধায়ককে আটকানো হচ্ছে, সেখানে পাঁচ-ছ’জন পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে, আটকাচ্ছে না। কারণ একটাই শাসকদলের ইন্ধন রয়েছে। তাঁরা ভয় পেয়েছেন। এসবের জবাব পাবে।” তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ওয়াসিম রেজা। তিনি বলেন, “তৃণমূলের তরফে কোনও ইজতেমার আয়োজন করা হয়নি। কমিটির লোক পরিচালনা করে। শুনেছি, ওনাকে নাকি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। সর্বোপরি মিথ্যা কথা।”
আরও পড়ুন: “EVM নয়, ভোটচুরি হচ্ছে ভোটার তালিকায় তাও কমিশনের অফিসে” অভিযোগ অভিষেকের
কিছুদিন আগে হুমায়ূন কবীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠে আসে হুমায়ুনের ছেলে গোলাম নবি আজাদ ওরফে সোহেলের বিরুদ্ধে। তার জন্য শক্তিপুর থানার পুলিশ রবিবার সকালে বিধায়কের বাড়িতে যায়। কিন্তু সে সময় হুমায়ুন কবীর বাড়িতে ছিলেন না তাই পুলিশ তাঁর পুত্রের খোঁজ শুরু করে এবং পরে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে গোটা অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, নিরাপত্তারক্ষীই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে মারতে উদ্যত হন। প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েই তিনি নিজের অবস্থান প্রমাণ করবেন বলেও দাবি করেছেন।