জঙ্গি দমনে নয়া উদ্যোগ ভারতীয় সেনার, কাশ্মীরে গ্রামবাসীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণ

Village Defence Force Training

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: জম্মু ও কাশ্মীরের চেনাব উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ দমন করতে এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল ভারতীয় সেনা। চলমান কাউন্টার টেরোরিজম অভিযানের মাধ্যমে এবার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ (Village Defence Force Training) দেওয়ার কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে ডোডা জেলা সদর থেকে মোটামুটি ৯০ কিলোমিটার দূরে বলাসার শিঙ্গিনি পঞ্চায়েত এলাকায়। সীমান্তবর্তী এবং সংবেদনশীল গ্রামগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই মূলত এই উদ্যোগ।

কেন দেওয়া হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ?

সেনাদের মতে, এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হল গ্রামবাসীদেরকে জঙ্গি হামলায় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত করা, প্রাথমিক স্তরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছনোর আগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। আর এই উদ্যোগ চেনাব উপত্যকার উচু এলাকায় সেনা পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী যৌথ অভিযানের মাধ্যমেই নেওয়া হয়েছে। বলাবাহুল্য, ডোডা এবং কিশতওয়ার জেলায় কয়েক বছর ধরেই অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গিদের কার্যক্রম বেড়ে চলেছে। তারকার জন্যই এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: স্বপ্নে বাজছে রেডিও! শোনা যাচ্ছে ভয়েস নোট, থানায় অভিযোগ নদিয়ার ব্যক্তির

কী কী শেখানো হচ্ছে?

এই কর্মসূচির আওতায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের শেখানো হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় এবং আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র চালানো, নিরাপদে অস্ত্র ব্যবহারের কৌশল, বাঙ্কার নির্মাণ এবং আত্মরক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত। এমনকি একইসঙ্গে জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কন্যা সন্তানের জন্মে ৫০,০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, রাজশ্রী প্রকল্প আবেদন কীভাবে?

গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র উন্নয়নে ইতিমধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্যোগে পুরনো ৩০৩ রাইফেলের বদলে সেল্ফ-লোডিং রাইফেল দেওয়া হয়েছে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীদেরকে। শিঙ্গিনির গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য সুরিন্দর সিং এ বিষয়ে বলেছেন, ১৭টি গ্রামের প্রতিরক্ষা দলের সদস্যরা একসঙ্গেই প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। অস্ত্র চালানো থেকে শুরু করে আত্মরক্ষা, সবকিছুই শেখানো হচ্ছে। নিজের গ্রামে এরকম প্রশিক্ষণ পাওয়া সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এদিকে তিনি সরকারের কাছে আরও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি ৯০ এর দশকে এই অঞ্চলে ঘন ঘন জঙ্গি হামলার কথাও স্মরণ করিয়েছেন তিনি।

Leave a Comment