ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আধার কার্ড এই মুহূর্তে দেশের সকল নাগরিকের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হয়ে উঠেছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে মিলবে এই গুরুত্বপূর্ণ নথিটি। শুধু পরিচয়পত্র নয়, এই নথিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে গ্যাস সিলিন্ডারের ভতুর্কি সবেতেই লাগে। কিন্তু জানেন কি এখন প্রত্যেকটি জমির জন্য তৈরি করা হতে চলেছে আধার কার্ড। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এটাই সত্যি। তাহলে সম্পূর্ণটা জানতে আজকের প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ে নিন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেট সম্পূর্ণ হয়েছে। সেখানে বাজেট পেশের সময় জমির জন্য ভূ-আধার আনার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বলা হয় আগামী ৩ বছরের মধ্যে ভূমি সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে। তবে এর জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী এদিন। অবশেষে এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। কিন্তু কী এই ভূ আধার?
কী এই ভূ আধার?
সব জমির একটি করে আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকবে। এই আইডেন্টিফিকেশন নম্বরই হল ভূ আধার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন আপাতত গ্রামীণ এলাকার সব জমি ভূ আধারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যেই গ্রামাঞ্চলের ভূমি সংস্কারের জন্য একাধিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ভূ-আধার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শহরের জমির ক্ষেত্রে নেওয়া হতে চলেছে বড় ব্যবস্থা!
এদিনের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা জানিয়েছেন, গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেকটা জমির সার্ভে করতে হবে। স্ট্যাম্প ডিজিটাইজড করতে হবে। তবে শহরের ক্ষেত্রে নেওয়া হবে অন্য ব্যবস্থা। চালু হবে GIS ম্যাপিং। পাশাপাশি সম্পত্তির রেকর্ড নথিভুক্ত করার জন্য চালু করা হতে চলেছে বিশেষ আইটি সিস্টেম। আসলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জমির মালিকানার অধিকার এবং সেই সংক্রান্ত নথি সংগ্রহের জন্য।
সরকারের এই পদক্ষেপ কতটা সুবিধাজনক জনগণের কাছে?
দিনের পর দিন জমি সংক্রান্ত বিবাদ বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এমনকি এই জমি নিয়ে অনেক এর খুন জখমের খবরও উঠে আসে। তাই সরকার জমি বিবাদ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মেটাতে বড় পদক্ষেপ নিল। তাই আধার কার্ডের মত জমির মালিকদের ১৪ ডিজিটের ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা ULPIN দেওয়া হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে জমি শণাক্তকরণ নম্বর, জমির ম্যাপিং ও মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করবে সরকার।