ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর উঠে এসেছে শাসক দলের অন্তর্গত তাবড় তাবড় নেতাদের বিরুদ্ধে। রেশন দুর্নীতি, কয়লা পাচার কাণ্ড, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইত্যাদি নানা কাণ্ডে রীতিমত হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্টে চক্কর কাটতে হয়েছিল। অন্যদিকে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও গরু পাচার মামলা দায়ে রীতিমত টানা ২ বছর ধরে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তবে এবার ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল এই দাপুটে নেতার জামিন বিষয়ক খবর।
সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রতর জামিন মামলার শুনানি ছিল। অবশেষে গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুনানি শেষে বীরভূমের তৃণমূল নেতার জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ। গরু পাচার মামলায় তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করার শর্তে জামিন পেলেন অনুব্রত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তিহাড়ে জেলবন্দি। CBI এর দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেও ED-র দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত জেলেই থাকতে বলে হবে জানা গিয়েছে।
অবশেষে জামিন কেষ্ট- র!
এর আগে বহুবার জামিনের জন্য আবেদন করা হলেও প্রতিবার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। কেষ্টর পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করার সময় বার বার জানিয়েছেন, গরু পাচার মামলায় অন্যন্যা অভিযুক্তেরা ছাড়া পাচ্ছেন। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করা হয় বার বার। সওয়ালে তারা জানায়, এই মামলায় অনুব্রতই হল মূল অভিযুক্ত। কিন্তু CBI এবং ED বারবার জানিয়েছেন যে জামিন পেলে অনুব্রত মণ্ডল সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারে। সেই কারণে বেশ কয়েক বার বীরভূমের তৃণমূল নেতার জামিন খারিজ হয়েছে। তবে এবার CBI এর মামলায় জামিন পেলেও পার পাওয়া গেল না ED র হাত থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় বীরভূমের নীচুপট্টি এলাকায় নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত। CBI প্রথম গ্রেফতার করে অনুব্রতকে। এবং আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়। পরে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। তখন থেকে তিহাড়েই বন্দি অনুব্রত। এই একই মামলায় ওই বছরের নভেম্বর মাসে ED তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।