ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: পুজোর পার্বণ হোক কিংবা অন্য কোনও অনুষ্ঠান, সুযোগ পেলেই সুরাপ্রেমীদের মদের দোকানের সামনে ভিড় বাড়াতে হয়। কিন্তু এবার সেই আনন্দ যেন মাটি হল। কারণ পুজোর আগেই এবার ব্যাপক দামবৃদ্ধি হতে চলেছে মদের বোতলের। পাশাপাশি রাজ্য আবগারি শুল্কও বাড়তে চলেছে। সম্পূর্ণটা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
মদ বিক্রি করে কতটা লাভ হয়েছে রাজ্য সরকারের
সূত্রের খবর, ২০২২- ২৩ অর্থবর্ষে মদ বিক্রি করে যে আয় হয়েছিল তা ছাপিয়ে গিয়েছে ২০২৩- ২৪ অর্থবর্ষ। অর্থাৎ এবছর মদ থেকে সর্বকালীন রেকর্ড আয় হয়েছে রাজ্য সরকারের। জানা গিয়েছে, এবছর মদ বিক্রি করে রাজ্য সরকার আয় করেছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। তবে এবার সেই আয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে চলেছে। অর্থাৎ নয়া আবগারি শুল্ক লাগু হলে রাজ্যে মদ বিক্রি থেকে আয় আরও ছাপিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার মনে ২৫ কোটি টাকার বেশি আয় হতে পারে।
গত কয়েক মাসে বিয়ারের দাম বারবার ওঠা-নামার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই আবহে WBSBC জানিয়েছে, ১২ জুলাই তারা বিয়ার, ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকার এবং ফরেন লিকার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছ থেকে আগ্রহপত্র চেয়েছিল। এবং বলা হয়েছিল ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে বিয়ার ও মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে বিড জমা দিতে হবে। এবং ২৯ জুলাই বিড খোলা হবে। আর নয়া দাম ধার্য করা হবে আগামী ১৪ আগস্ট থেকে। এবার সেই অনুযায়ী বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল।
কত টাকা বাড়তে চলেছে?
জানা গিয়েছে আগামী ১৪ আগস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে যেতে চলেছে মদের দাম। এই আবহে পুজোর আগেই মাথায় হাত পড়বে সুরাপ্রেমীদের। এক ধাক্কায় প্রায় কয়েক শতাংশ দাম বাড়তে পারে মদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আবগারি দফতরকে শুল্কবৃদ্ধির জন্য মঞ্জুরি দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকারের দাম ন্যূনতম ২০ টাকা করে বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত রাজ্য সরকারের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যেই মদের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বাজারে মদের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আদায়ের জন্য দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে দাম বেড়েছিল মদের। এরপর ২০২২ সালে বিয়ারের দাম কমেছিল রাজ্যে। আর এবার ফের এক দফায় বাড়বে মদের দাম। ৬০০ মিলিলিটারের যে দেশি মদের বোতলের দাম বেড়ে ১৬০ টাকা হতে পারে। আর ৩০০ ও ৩৫০ মিলিলিটারের ছোট বোতলের দাম যথাক্রমে ৯০ এবং ১০০ করা হতে পারে। অন্যদিকে বিয়ারের বোতলের দাম একলাফে ১৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।