ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে রেশন দুর্নীতি মামলা যেন ক্রমেই এক বড় আকার ধারণ করছে। ED এবং CBI এর তদন্তে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। যার ফলে ধৃতের তালিকা বেড়েই চলেছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গ্রেফতার হন চাল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। আর ওই বছরই ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। এরপর উঠে এসেছে একাধিক নাম। সম্প্রতি ফের খবরের শিরোনামে আরও একবার উঠে এল রেশন দুর্নীতি কাণ্ড।
রেশন কাণ্ডে গ্রেফতার হল আরও দুই!
চলতি সপ্তাহে রেশন দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে ED তল্লাশি চালিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা এলাকায়। এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ পাচারকারী বারিক বিশ্বাস ও দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুর রহমানের একাধিক ঠিকানায় ED সকাল সকাল হামলা চালিয়েছিল। এবং চুলচেরা তদন্তের ফলে আনিসুরের চালকল থেকে উদ্ধার হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। গত বৃহস্পতিবার আনিসুর ও তাঁর ভাই আলিফকে CGO কমপ্লেক্সে তলব করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেখানে দিনভর তাঁদের জেরা করেন ইডির তদন্তকারীরা। কিন্তু তাতেও রহস্যের জাল আরও ঘনীভূত হয়ে।
দুর্নীতি কাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল চিনা যন্ত্র!
ED সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন CGO কমপ্লেক্সে আনিসুর ও তাঁর ভাই যথা সময়ে উপস্থিত হলেও তাঁদের দেওয়া বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। এমনকি দুজনের মধ্যে কেউই তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইছেন না। তাই বাধ্য হয়েই দুই ভাইকে গ্রেফতার করে ED। কিন্তু এখানেই আসে টুইস্ট। প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। জানা গিয়েছে, মুনাফা বৃদ্ধি করতে অভিযুক্ত আনিসুর নকল চাল তৈরির জন্য বেআইনিভাবে ব্যবসা শুরু করেছিল। আর সেটি শুরু করেছিল দেগঙ্গা রাইস মিলেই।
আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল নকল চাল তৈরির যন্ত্র চিন থেকে আমদানি করেছিল আনিসুর। সেই যন্ত্র দিয়ে ভাঙা চালকে জোড়া লাগানো হত। এমনকি আটা দিয়েও তৈরি হত চাল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আর নানা অন্তর্নিহিত তথ্য লুকিয়ে রয়েছে। তাই এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ধৃতদের জেরা করছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে আজ অর্থাৎ শুক্রবার ধৃতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। তার পর তাদের পেশ করা হবে আদালতে। ধৃতদের তাঁদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করবে ED।