কোটা আন্দোলন বদলে গেল হিন্দু নিধন যজ্ঞে? বাংলাদেশে ভাঙচুর একাধিক মন্দিরে

Published on:

bangladesh crisis

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ৷ আর ঠিক পরমুহুর্তেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন আক্রমণ করে আমজনতারা৷ এমনকি সাধারণ মানুষ দখল করে নেয় সংসদ ভবনও ৷ কিন্তু এরপরেই জনসাধারণের আক্রমণের রোষ উপচে পড়ে ভারতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং মন্দিরগুলির উপর। ছিল ছাত্র আন্দোলন। তা শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছে বিশৃঙ্খল তাণ্ডবে। গতকাল বিকেলে জানা গিয়েছে, ঢাকায় ভারতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়েছে ৷ ক্ষুব্ধ জনতার হাতে ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দিরও ৷ বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।

বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল

রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গতকাল সংঘর্ষে বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০৯ জনের। পরে অন্যান্য রিপোর্টে দাবি করা হয়, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩৫। বাদ যায়নি পুলিশ স্টেশনও। রাজধানী ঢাকাতে অন্তত ১৩টি পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে গতকাল। বাংলাদেশের দু’টি কারাগারে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আর এই অশান্ত পরিবেশের ফাঁকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলার অভিযোগ ওঠে। একের পর এক হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলার খবরও উঠে আসে। তবে যে মন্দিরগুলি শুধু টার্গেট করা হয়েছে তা কিন্তু নয়। সরকার বিরোধী আন্দোলনের আছিলায় বাংলাদেশে হামলা চলছে সংখ্যালঘুদের ওপরে।

WhatsApp Community Join Now

এবার টার্গেট হিন্দু মন্দির!

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকি সেখানকার সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন গতকাল বাংলাদেশে ৪টি জেলাতে অন্তত ৯টি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বহু জায়গায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

এইমুহুর্তে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালীমন্দিরসহ পাঁচটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। ফেনি শহরের দুর্গামন্দিরে হামলা চালানো হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ২ নম্বর ইউনিয়নের শ্মশান মন্দিরে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এবং নেত্রকোনা শহরে রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইসকন মন্দিরে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। তবে এই নৃশংস হামলার অন্দরেই প্রাণপণে মন্দির বাঁচাতে ছুটে এসেছে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। সারা রাত জেগে তাঁরা মন্দির রক্ষা করেছেন। পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফ থেকেও হিংসা থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন