ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কখনও কি দেখেছেন যে সাধারণের জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও সেটির কোনও সুবিধাই নিতে পারছে না কেউই? এদিকে সেই সেতু নির্মাণ করতে লেগেছিল কোটি কোটি টাকা। নিশ্চয়ই শুনে অবাক লাগছে? কিন্তু বাস্তবে সত্যিই এমনটাই হতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে এবার তদন্তে নামল সেখানকার আধিকারিকরা।
ঘটনাটি কী?
বিহারের আরারিয়া জেলার রানিগঞ্জের একটি গ্রামে প্রায় ৪ মাস আগে গড়ে ওঠা ৩৫ ফুট সেতুকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জানা যায় সেখানকার গ্রামবাসীদের উদ্দেশে একটি ৩৫ ফুট সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে কোনও রাস্তার সংযোগ নেই। খোলা মাঠের মাঝে এমন আজব সেতু কোনও কাজেই আসছে না গ্রামবাসীদের। যা নিয়ে চলছে এবার জোর চর্চা। এবার সেই বিষয়ে বড় হস্তক্ষেপ করলেন জেলাশাসক।
সেতু নির্মাণকে ঘিরে শুরু হয়েছে তদন্ত!
এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসক সেতু নির্মাণের বিষয়ে পূর্ত দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। এবং ডিএম-এর নির্দেশের পরে, আধিকারিকরা এখন এই সেতু নির্মাণের তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্তে আধিকারিকরা জানায়, গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের অধীনে পরমানন্দপুর গ্রামে ২.৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল, আর এই সেতুটি এই প্রকল্পের অংশ। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। যার ফলে সেতুটির দুই পাশে এখনও রাস্তা নির্মিত হয়নি।
সূত্রের খবর, এই প্রকল্পটির জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রায় ৩ কোটি টাকার প্রকল্প ছিল এটি। ইতিমধ্যেই বিহারের এই আজব সেতুকে ঘিরে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এমন দায়িত্বহীন এর মত কাজের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন জেলাশাসক। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কাজের প্রতি এইরূপ অবহেলা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাই তদন্ত রিপোর্ট সামনে এলেই আইন অনুযায়ী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।