ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: জনসংখ্যার বিচারে গোটা ভারতবর্ষে প্রায় ১৪০ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে। আর সেই জনসংখ্যাকে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যমের সংখ্যা। প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার দু চাকা চার চাকা এপার থেকে ওপার ছুটে চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে গাড়ি-বাইক চালকদের দুর্ঘটনা রুখতে এবং রাস্তাঘাটে যানজট কমানোর জন্য কঠোর ভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেয় সরকার।
বিনা দোষে মোটা অংকের জরিমানা!
কিন্তু চালকদের মধ্যে অনেকেই এমন আছেন যারা জেনে শুনে একই ভুল করেন এবং ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে ধরা পড়লে মোটা টাকা ফাইন দিতে হয়। কিন্তু আবার কোনো চালক এমন অভিযোগও করে থাকে যে সমস্ত ট্র্যাফিক আইন মেনে চললেও কিছু কিছু ট্র্যাফিক পুলিশ মোটা টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য করে। কোনো উপায় না পেয়ে তখন সেই প্রস্তাব মেনে টাকা দিতে হয়। তবে এখন থেকে এই সমস্ত পরিস্থিতিতে মোটা টাকা জরিমানা দেওয়া থেকে বাঁচতে পারেন মাত্র একটি উপায়ে। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নিন বিস্তারিত।
মামলা করার পদ্ধতি
এখন থেকে ট্র্যাফিক চালানের অভিযোগ থাকলে সরাসরি লোক আদালতে চলে যেতে বলেছে সরকার। পুরনো মামলা থেকে শুরু করে স্থগিত হওয়া মামলা এবং ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট সবই লোক আদালতে মিটিয়ে ফেলা হয়। তাই এই মামলার সুরাহা করতে চলে যেতে হবে এই আদালতে। তবে সেখানে মামলা করার আগে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রথমেই লোক আদালতে এই মামলাটি তুলতে গেলে আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর লাগবে। সঙ্গে ট্রাফিক চালান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি আগে জমা করতে হবে। জাল সংক্রান্ত কোনও নোটিশ বা পুলিশের সঙ্গে বার্তালাপের প্রমাণ পত্র জমা করতে হবে। এবং মামলার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটির মাধ্যমে এই লোক আদালতের শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে শুনানি হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে সমস্ত কাজ করে নিতে হবে। তবে মামলা করার আগে একটা কথা জেনে রাখা খুব জরুরি। সেটি হল ট্রাফিকের চালান কাটা হয়ে গেলে তার জরিমানার অঙ্ক লোক আদালতে গেলে সম্পূর্ণ মকুব হয় না সবসময়। তাই সেই হিসেবেই মামলার দিকে এগোতে হবে।