ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বরাবরই মাছেদের জালে রুই, কাতলা, ইলিশ, ভেটকি, ভোলা, চিংড়ি, টুনা, শঙ্কর নানা ধরনের মাছ ধরা পড়ে। কখনও কখনও ভাগ্য যদি সহায় থাকে, তাহলে মৎস্যজীবীদের জালে পড়তে পারে অত্যাধিক ওজনের আকারে বড় মাছ। যা বিক্রেতাদের মধ্যে চড়া দামে বিকোনো হয়। তবে সেই সকল ঘটনা খুবই বিরল। সম্প্রতি বাংলাদেশের কক্সবাজারে এবারে উঠে এল অত্যাধিক বড় আকারের মাছ।
বাংলাদেশের কক্সবাজারে হামেশাই উঠে আসে বিশাল আকারের মাছ। কখনও বড় আকারের বোয়াল তো আবার কখনও বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে জালে। সম্প্রতি সেখানকার সেন্ট মার্টিনের সৈকতে ভেসে এসেছে ৬০ কেজি ওজনের একটি টুনা মাছ। সূত্রের খবর গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টে নাগাদ সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম পাড়া মেরিন পার্ক সমুদ্র সৈকত পয়েন্টে জায়েন্ট মাছটি ধরা পড়ে। আর এই মাছ ধরা পড়ার বিষয়টি জানিয়েছেন সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল।
কী এই টুনা মাছ?
আঞ্চলিক ভাষায় সেন্ট মার্টিনের জেলেরা টুনা মাছটিকে ‘বোমা মাইট্যা মাছ’ হিসেবে চেনেন। মাছটি ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা এবং ৬০ কেজি ওজনের। টুনা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Thunnus। এবং এই প্রজাতির মাছের মধ্যে আটলান্টিক ব্লুফিন গ্রুপ সবচেয়ে বড়। তবে একমাত্র বড় সাইজের টুনা মাছ পাওয়া যায় আটলান্টিক মহাসাগরে। কিন্তু এর আগে সেন্ট মার্টিনে এত বড় টুনা মাছ ধরা পড়েনি কোনোদিন। যা সত্যিই অবিস্মরণীয়।
জানা গিয়েছে, এই বড় আকারের টুনা মাছটি সেন্ট মার্টিন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোনা পাড়ার বাসিন্দা আবদু সালামের ছেলে নূর আলম এর জালে ধরা পড়েছে। খবরটি প্রচার হতেই মিডিয়া চলে আসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য। সেই সময় মাছ ধরার প্রসঙ্গে নূর আলম বলেন, ‘ গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে আমার বন্ধু ইউনুসসহ দক্ষিণ পাড়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরছিলাম। এই সময় সাগরের হাঁটু পানিতে একটি বড় মাছ ভাসতে দেখা যায়। আমরা আর দেরি না করে একটি জাল নিয়ে এসে ওই মাছটিকে ধরে সমুদ্র সৈকতে তুলে নিয়ে আসি।’
কত দামে বিক্রি হল এই মাছ?
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, মাছটি সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসার পর সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে নিয়ে গেলে ভিড় জমায় আশেপাশের লোকজন। তাঁদের ইচ্ছা ছিল ট্রলারে করে এই ৬০ কেজি ওজনের মাছটি কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে মোটা টাকায় বিক্রি করতে। কিন্তু আবহাওয়ার অবস্থা ভালো না থাকায় সেই ইচ্ছা আর পূরণ হল না। অবশেষে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার স্থানীয় মেম্বার ছৈয়দ আলম সেই মাছটি দরদাম করে ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন।