বাংলাদেশে আর বিদ্যুৎ পাঠাবে না আদানি? বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার

Published on:

Adani Power,Bangladesh,Gautam Adani,Adani Group,Electricity

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লড়াইটা শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে। কিন্তু সেই লড়াইয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভ এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল যে ধ্বংসলীলায় একপ্রকার মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। এমনকি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সদ্য প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকে বাংলাদেশ জুড়ে চলছে নৈরাজ্য। গত সপ্তাহে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ কিছুটা রেহাই পেলেও এখনও ভারত বিরোধিতার মেজাজ রয়েছে সেখানকার মানুষের মনে। তাইতো এবার সংকটে আরও এক বিখ্যাত সংস্থা।

গত বছর, গৌতম আদানির সংস্থা থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ শেখ হাসিনা গৌতম আদানির সঙ্গে চুক্তি হয়। তার জন্য বাংলাদেশ সফরে যেতে হয়েছিল ভারতীয় শিল্পপতিকে। কিন্তু বর্তমানে নয়া অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ফলে মাথায় চিন্তার হাত পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর। তাহলে কি প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ? এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলল কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক।

WhatsApp Community Join Now

কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের নয়া উদ্যোগ

গত ১৩ আগস্ট, কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক থেকে বাংলাদেশ আদানি চুক্তি বিষয়ক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এবং সেই বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৮ সালের কোনও প্রতিবেশী দেশে একচেটিয়াভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহর বিষয়ে সংশোধন করা হয়। সেই সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও উৎপাদন কেন্দ্রের পূর্ণ বা আংশিক ক্ষমতা গ্রহণ না করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ বিক্রির সুবিধার্থে ভারতীয় গ্রিডে এই জাতীয় উৎপাদনে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিতে পারে। এর ফলে পেমেন্টে দেরি হলেও স্থানীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে আদানি বা অন্য কোনও সংস্থা।

নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে?

সূত্রের খবর, ভারতে অবস্থিত ঝাড়খন্ডের গোড্ডা জেলায় গোড্ডা পাওয়ার প্লান্ট আদানি গোষ্ঠীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। গত ২৬ এপ্রিল ১৬০০ মেগাওয়াটের আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল এই পাওয়ার প্লান্টটির প্রথম ইউনিট কাজ শুরু করেছিল। দ্বিতীয় ইউনিটটি সক্রিয় হয়েছিল ২৬ জুন। এবং চুক্তি অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হয়েছে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড থেকে আগামী ২৫ বছর ধরে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে যাবে। এমনকি এর জন্য ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন সিস্টেম তৈরি করাও হয়েছে যা কিনা বাংলাদেশ গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সেই কারণেই বাংলাদেশের সরকারের আমূল পরিবর্তনে যাতে ক্ষতির মুখে পড়তে না হয় আদানি পাওয়ারকে, তাই বিদ্যুৎ রফতানি নিয়ে নয়া নিয়ম সংশোধন করল ভারত।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন