ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে অন্তর্বতী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশে পালাবদলের আগে থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রয়াদের ওপর বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালানো হচ্ছে, বাড়িঘর-মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ইউনূসের স্পষ্ট বার্তা, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা স্থাপন করা তাঁর লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। এবং এই অধিকার দেশের সকলের। নেই কোনও বৈষম্য। তাই সাহায্য করার পাশাপাশি ধৈর্য ধরুন। যদি তাঁরা ব্যর্থ হয়, তখন সমালোচনা করুন।
হিংসার শিকার বাংলাদেশের হিন্দুরা!
কিন্তু বাংলাদেশে যখনই শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলে ঠিক তখনই সেই ভয়ংকর হিংসার শিকার হতে হয় সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের। এবারেও তাই হতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের সেই একই দৃশ্যের সাক্ষী হল বাংলাদেশ। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে লাগল সেখানকার হিন্দু মন্দির। লুঠ করা হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়ি। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সেখানে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করে খুনও করা হচ্ছে। এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিস্থিতি। আর এই আবহেই এবার হিন্দুদের কাছ থেকে তাঁদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে ভয়ংকর অভিযোগ উঠল।
সুরক্ষা প্রদানে মোটা টাকা আদায়!
সূত্রের খবর, অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের এক চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীর নামে। বাংলাদেশের কলোনি হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে প্রত্যেক হিন্দুর বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই চিহ্নিত বাড়িগুলির ফোন নম্বর ধরে ধরে ফোন করা হচ্ছে। এবং সরাসরি বলা হচ্ছে, ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে কিনতে হবে নিরাপত্তা। না-হলে ছাড়তে হবে বাংলাদেশ। এক বাংলাদেশি হিন্দু যুবককে ফোন করে রীতিমত হুমকি দিয়ে জানানো হয়, “টাকা দিতে না পারলে দেশ ছাড়ো, নইলে মরতে হবে।” জানা গিয়েছে শুধু একটি বাড়িতেই নয়, হিন্দুদের ঘরে ঘরে আসছে এমন ফোন কল। তবে, এখনও পর্যন্ত তোলা আদায় করতে কেউ আসেনি। তাই সব মিলিয়ে বলা যায় গ্রামীণ পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ংকর।
গতকাল দিল্লির লালকেল্লায় ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। সেখানে উঠে আসে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। এদিন মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটল তা উদ্বেগের বিষয়। দেশের ১৪০ কোটি মানুষই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। শীঘ্রই সেখানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভারত চায় প্রতিবেশী দেশগুলো শান্তির পথে থাকুক।’