ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষ দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এবং সেই লড়াইয়ে প্রায় আড়াই লাখ ভোটে জিতেছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও ‘শিবলিঙ্গ’ বিতর্কে সাংসদ সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে তথাগত রায়ের সেই FIR, আজও বঙ্গ রাজনীতিতে মাঝেমধ্যেই ঘুরে ফিরে আসে। কিন্তু এই তর্ক বিতর্কের মাঝেই এবার এল আরও এক মহা চমক। এবার নিজের এলাকায় পুজোর ‘মুখ’ হিসাবে দেখা যাবে যাদবপুরের সেই বিতর্কিত সাংসদ সায়নকে।
পুজোর মুখ এবার সায়নী!
সূত্রের খবর, যাদবপুরের কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হচ্ছেন সাংসদ সায়নী ঘোষ। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, স্বাধীনতা দিবসের দিন পুজো কমিটির তরফে পুজোর থিম-সহ শিল্পীদের নাম এবং পুজোর মুখের নাম প্রকাশ্যে এনেছে পুজো কমিটি। আর সেখানেই ভেসে উঠেছে সায়নীর মুখের ছবি। এ বছর কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মঞ্চ সাজিয়ে তুলতে চলেছেন শিল্পী সুশান্ত পাল। আর তাঁরই ভাবনা ‘অনুনাদ’-কে সামনে রেখেই পুজোর মুখ করা হয়েছে সায়নীকে। তবে এই ভাবনা লোকসভা ভোটের অনেক আগেই হয়েছে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে সায়নী ঘোষ নির্বাচিত হওয়ার আগেই শিল্পী সুশান্ত পাল পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের কাছে সায়নীকে পুজোর মুখ হিসেবে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের পুজোর হোডিং লাগিয়েছেন তাঁরা।
রয়েছে সায়নীর সম্মতি!
যদিও সায়নীর কাছে এই প্রস্তাব যেতেই প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে ওই সংক্রান্ত বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলেও জানান। এরপর সাংসদ পদে শপথ নিয়ে ফেরার পর আবার পুজো কমিটির সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় তাঁর। দু’পক্ষের সম্মতিতেই কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হতে সম্মতি দেন সায়নী। ইতিমধ্যে শিল্পী সুশান্তের নির্দেশনায় সায়নীর একটি ফোটোশুটও হয়েছিল। যার একটি ছবি গতকাল প্রথম হোর্ডিংয়ে জায়গা পেয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে এই গোটা বিষয় নিয়ে আগামিদিনে তিনি নিজেই সাংবাদিক বৈঠক করবেন সায়নী।
পুজোর মুখ হিসেবে সায়নীকে বেছে নেওয়ার সম্মতি দিয়েছে এই পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক। তবে শুধু বাপ্পাদিত্য বা সায়নীই নন, ঘটনাচক্রে এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের আরও এক জনপ্রতিনিধি। আর তিনি হলেন বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। যিনি থিম ‘অনুনাদ’-কে প্রাণবন্ত করতে আবহ সঙ্গীতের ব্যবহার করবেন।