৬৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের মেধা তালিকা বাতিল করল হাইকোর্ট! বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারকে

Published on:

Allahabad High Court

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনামে উঠে আসছে একের পর এক দুর্নীতির নানা খবর। কখনও কয়লা পাচার কাণ্ড তো কখনও আবার গরু পাচার কাণ্ড। এমনকি বাদ যায়নি রেশন দুর্নীতি এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। হাজার হাজার মামলার ধাক্কা খেয়ে চলেছে হাইকোর্টে। আর এই আবহেই এবার হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার বড় রায় দিলেন বিচারপতি। যা নিয়ে এবার বেশ চাপে পড়ল সরকার।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এবার বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কিন্তু এই ধাক্কা পশ্চিমবঙ্গে নয়, স্বয়ং যোগী রাজ্য খেল। লখনউ হাইকোর্টের ডাবল বেঞ্চ এবার উত্তরপ্রদেশের ৬৯ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মামলায় একটি বড় সিদ্ধান্ত দিয়েছে। পাশাপাশি বিচারপতি মাসুদি এবং বিচারপতি ব্রিজরাজ সিংয়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সম্পূর্ণ নির্বাচন তালিকা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবং লখনউ হাইকোর্টের ডাবল বেঞ্চ যোগী সরকারকে প্রার্থীদের একটি নতুন বাছাই তালিকা প্রস্তুত করারও নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের সাধারণ ক্যাটাগরিতে মাইগ্রেট করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই মেধাতালিকা বেসিক এডুকেশন রুলস এবং রিজার্ভেশন গাইডলাইনসের সঙ্গে যেন সঙ্গতিপূর্ণ হয়।

WhatsApp Community Join Now

কেন এমন সিদ্ধান্ত?

আসলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিকে ৬৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আবার এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই পরীক্ষায় প্রায় ৪১০০০০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে, ২০২০ সালে সেই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়। সেই ফলাফলে প্রায় ১৪৭০০০ জন প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন যাদের মধ্যে প্রায় ১১০০০০ জন প্রার্থী সংরক্ষিত শ্রেণীভূক্ত। আর সেখানেই গণ্ডগোল এবং দুর্নীতির গন্ধ পায় বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী।

হাইকোর্টের বড় রায়

তাইতো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অস্বচ্ছতা হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ, প্রায় ১৯০০০ জন প্রার্থীকে সংরক্ষণের সুবিধা না দিয়েই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপরই সেই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুরু হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। বছরের পর মামলা চলে। অবশেষে প্রায় ছয় বছর পর গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই নিয়োগ সংক্রান্ত পুরো মেধাতালিকা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ যে নিয়োগে সত্যিই অস্বচ্ছতা রয়েছে। এবং স্পষ্ট ভাবে জানানো হয় যে মেধাতালিকা বাতিলের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন