ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বিনা কষ্টেই কোটিপতি হতে অনেকেই ভরসা রাখেন লটারির টিকিটে। অনেকেই তাই নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য লটারি কেটে থাকেন। কিন্তু এই খেলা যে মারাত্মক নেশাগ্রস্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যতক্ষণ না এই টিকিটে কোনও হিল্লে হয় ততদিন অনেক টাকা খরচ করে যেতে হয়। কিন্তু ভাগ্য যে কখন ইউটার্ন নেয় তা বোঝা সত্যিই দুষ্কর। এমনই এক ঘটনা ঘটল এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানের সঙ্গে।
লটারিতে ভাগ্য ফিরল অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের
লটারির এক টিকিটেই কেল্লাফতে করেছেন চাকদহের পালপাড়া উত্তর এনায়েতপুরের দীনবন্ধু বিশ্বাস। পেশায় তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান। সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। তবে লটারি কাটার বিরাট নেশা ছিল তাঁর। বাড়ির একদম মত ছিল না এসব লটারিতে। বেকার টাকা নষ্ট। কিন্তু দীনবন্ধু বাবুর নেশা সহজে কাটে না। তাইতো গত সোমবার পালপাড়া স্টেশন থেকে বিকেলবেলায় সাতশো টাকার লটারি কেটেছিলেন। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায়।
রাত কাটাতে হল পুলিশ স্টেশনে!
লটারি কেটে বাড়ি এসে স্নান-খাওয়াদাওয়া করে যখন লটারির দোকানে এসে টিকিট নম্বরটি মেলায় ঠিক তখনই ভিরমি খাওয়ার মত অবস্থা হয়ে যায় তাঁর। আসলে টিকিটগুলির মধ্যে একটি নম্বর একেবারে প্রথম পুরস্কারের নম্বরের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। যার মূল্য এক কোটি টাকা। কিন্তু এতগুলো টাকার টিকিটটি একা বাড়ি নিয়ে যাওয়া অনেক দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে তাঁর কাছে। তাই কোনও কিছু না ভেবে ট্রেন ধরে সোজা চলে যান চাকদহ থানায়। সেখানে পুলিসের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেন। আর তাতে পুলিসও তাঁকে রাতে থানার মধ্যে থাকার পরামর্শ দেয়।
সারা রাত থানায় কাটানোর পর গত মঙ্গলবার সকালে লটারির টিকিট নিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা তোলার জন্য চলে যান দীনবন্ধু বাবু। এত টাকার লটারি পেয়ে সোনায় সোহাগা তিনি। চোখে চলে আসে জল। কম্পিত গলায় তিনি জানান এত দিন পর তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রচুর টাকা খরচ করেছিলেন তিনি এই স্বপ্ন পূরণের জন্য, অবশেষে ভগবান তাঁর মুখ তুলে চেয়েছেন। এই টাকা দিয়ে ভবিষ্যৎ এ তিনি কী করবেন জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন বাড়িটা ঠিকঠাক ভাবে মেরামত করব এবং ছেলের পড়াশোনায় খরচ করব।