ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার জেরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। একের পর এক ধর্ষণ কাণ্ডে জেগে উঠেছে নারী শক্তি। চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে প্রতিবাদী মিছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে এইমুহুর্তে আরজি কর কাণ্ডে তদন্তে সামিল হয়েছে CBI। আর এই পরিস্থিতিতে সঠিক বিচারের তাগিদে যখন গোটা রাজ্য অশান্ত, ঠিক তখনই আরও একবার গণধর্ষণের কলঙ্ক মাখল রাজ্য।
স্বাধীনতা দিবসের দিন গণধর্ষণ
ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে। স্বাধীনতা দিবসে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণধর্ষণের শিকার হয় এক কিশোরী। জানা গিয়েছে, কিশোরীর এই হেন অবস্থা যাদের জন্য হয়েছে তারা সকলেই নাকি কিশোরীর পূর্ব পরিচিত। প্রাথমিক ধারণা, কিশোরীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলাপ হয় যুবকদের। ফোন নম্বর বিনিময়ও হয়। বৃহস্পতিবার কিশোরীকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডাকে। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যেবেলায় সেই যুবকদের সাথে ঘুরতে বের হয় কিশোরী। আর এরপরই সুযোগ বুঝে কাওয়াখালি সংলগ্ন নির্জন এলাকায় কিশোরীকে জোর করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই ২ যুবক।
ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার দুই যুবক!
কিশোরী কোনরকমে বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকেদের বিষয়টি জানালে তড়িঘড়ি রাতে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে এনজেপি থানার পুলিস। গ্রেফতার হওয়া দুজনের মধ্যে আবার একজন সাবালক। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরী। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার সি সুধাকর জানান, “ধৃত ২ যুবক ছিল ওই কিশোরীর পরিচিত। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুজনের মধ্যে একজন কিশোর।”
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুর গ্রামে নৃশংসভাবে তরুণী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। পুলিস ১২ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল ধৃতদের ধরার জন্য। কিন্তু কিছুতে তাদের ধরতে না পারায় মৃতার পরিবার আজ CBI তদন্ত চেয়েছে। এ বিষয়ে মৃতার বাবা সুকান্ত হাঁসদা জানান, এই ঘটনা কীভাবে ঘটল তা আজও অজানা। এমনকি এতটা সময় পেরিয়ে গিয়েও পুলিস কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি এখনও।’