ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আজ ২২ আগস্ট। দেখতে দেখতে প্রায় ১৩ দিন পার। এখনও তরুণী চিকিৎসকের উপর হওয়া অন্যায়ের বিচার পাওয়া যায়নি। এদিকে সঠিক এবং ন্যায্য বিচারের তাগিদে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলের বিশিষ্টরা। রোদ বৃষ্টি জল উপেক্ষা করে রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তারা। আর এই আবহেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সম্প্রতি এই রিপোর্টার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে গণধর্ষণের শিকার হননি আরজি কর মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসক। যা শুনে রীতিমত অবাক সকলে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত CBI যা তদন্ত করেছে তাতে এই রিপোর্টই উঠে আসছে যে গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে যে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন হয় সেই ঘটনায় একজনই জড়িত রয়েছে। আর তিনি হলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়।
মৃত তরুণী চিকিৎসককে কোনো গণধর্ষণ করা হয়নি!
ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টেও সেরকম ইঙ্গিত মিলেছে। মৃত তরুণী চিকিৎসককে যে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে, সেরকম কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি DNA রিপোর্টে। তবে এখানেই থেমে থাকছে না CBI। পুরো ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কিনা, তা নিয়ে এখনও CBI চুলচেরা তদন্ত করে চলেছে। এমনকি বিশেষ সূত্র মাধ্যম জানা গিয়েছে যে CBI ফরেন্সিক রিপোর্ট একাধিক এক্সপার্টদের দিয়ে যাচাই করাবে সত্য উদঘাটনের জন্য।
সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা CBI এর
ইতিমধ্যেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আরজি কর মামলার দ্বিতীয় শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে CBI। সেই সময় CBI এর আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আরজি কর মেডিকেলে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পাঁচদিন পরে ঘটনার তদন্তভার হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় ঘটনাস্থল পুরোপুরি পালটে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেক প্রমান লোপাট হয়েছে। তবে সলিসিটর জেনারেল এর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে দেয় রাজ্য সরকার।