ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেই তলিয়ে গেল বাংলাদেশের সরকার। কোনরকমে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। আর তাতেই ক্ষমতা চলে যায় প্রধান সেনাবাহিনীর হাতে। অবশেষে টালমাটাল পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ISI ও আমেরিকার মদতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতা দখল করে মহম্মদ ইউনূস। আর ক্ষমতায় এসেই এবার কোমর বেঁধে ভারতের বিরুদ্ধে আসরে নামল। আর তিস্তা নদীর জলবন্টন নিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জলসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সাংবাদিক বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান!
গতকাল অর্থাৎ বুধবার, বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের নতুন অন্তবর্তী সরকারের জল, অরণ্য, পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সেখানেই দিল্লিকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের যেমন তিস্তা নদীর উপরে অধিকার রয়েছে, তেমনই একই অধিকার বাংলাদেশেরও রয়েছে। তাই আমরা ওই অধিকার বলে একদম পিছপা হব না। তাই আমরা তিস্তার তীরে বসবাসকারী আমাদের মানুষদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরব এবং নদী নির্ভর মানুষ যেন তাদের ন্যায্য অধিকারটুকুর দাবি উপস্থাপন করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিশ্চয়ই নেব।’
এর আগে কুশিয়ারা এবং ফেনীর মতো নদীর জল ভাগ নিয়েও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছিল তবে এবার খবরের শিরোনামে উঠে এল তিস্তা নদী। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ঢাকা ও নয়াদিল্লিকে ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জল বন্টন চুক্তির পুনর্নবীকরণের জন্য আলোচনা করতে হবে। আসলে এই জলবন্টন চুক্তি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়াদেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুনর্নবীকরণের জন্য আলোচনা করা হয়নি অন্যদিকে তিস্তা নিয়ে কোনো আলোচনাও করা হয়নি। তাই এবার ভারতের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসতে হবে।
হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
শুধু দিল্লি নয়, একইসঙ্গে তিস্তার জল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ় অবস্থানের কথাও উল্লেখ করে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘তিস্তার জলে বাংলাদেশের অধিকার আদায়ের দিক থেকে আমরা কোনদিক থেকে পিছপা হব না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে তিনি নিজের মানুষকে বঞ্চিত করে আমাদের জল দেবেন না। তাই আমরা তিস্তার তীরে বসবাসকারী আমাদের মানুষদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জল পাব কি পাব না তা আমাদের হাতে নেই। তবে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তাতে আমরা আমাদের অবস্থান ভারতকে খুব স্পষ্টভাবে জানাব।’