ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই মহা বিশ্বে চার যুগের উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী এই চার যুগ হল সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি। বলা হয় এই কলি যুগের শেষে গোটা পৃথিবী পাপে ছেয়ে যাবে। অর্থাৎ কলি যুগের সময় শেষ হতেই জগতের সকল অন্যায় এবং অধর্মে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে বিশ্ব সংসার। আর ঠিক সেই সময় নাকি আবির্ভূত হবেন কল্কি।
কল্কি আসলে বিষ্ণুর দশম অবতার। তিনিই সমস্ত পাপ এবং অন্যকে বিনাশ করে নতুন করে আবার সবকিছু গড়ে তুলবেন। তবে এই কলিযুগের কথা শুধু বিষ্ণু পুরাণ এই আছে তা কিন্তু নয়। স্কন্দ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ ও ভাগবত্ পুরাণেও কলিযুগের উল্লেখ পাওয়া যায়। শোনা যায় ষোড়শ শতকে অর্থাৎ ৫০০ বছর আগে অচ্যুতানন্দ নামের এক সাধু ভবিষ্য মলিকা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সেখানে কলিযুগের শেষপর্বে পৃথিবী ধ্বংসের আগে কী কী ঘটনা ঘটবে, সেই বিষয়ে বলা আছে। শুধু তাই নয় তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন যা পরে সত্যি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে কি এবার পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পালা? সম্পূর্ণটা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং গৃহ যুদ্ধের আভাস
অচ্যুতানন্দ লিখেছেন যে কলি যুগ শেষ হওয়ার আগে গোটা বিশ্ব জুড়ে হিংসা এক মারাত্মক আকার ধারণ করবে। যার ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে। এবং উত্তেজনা এতটাই বড় আকার ধারণ করবে যে বিশ্বের অনেক দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। একদিকে যেমন অহরহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবজাতি দুর্বিষহ হয়ে উঠবে, তেমনই অন্যদিকে ভয়ংকর গৃহযুদ্ধে ভয়ংকর মৃত্যুলীলা চলবে। এবং গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা এসে দাঁড়াবে মাত্র ৬৪ কোটিতে।
দেশে কৃষি ব্যবস্থা ব্যাহত হবে
ভবিষ্য মলিকা থেকে জানা যায় কলি যুগ শেষ হওয়ার মুখে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে যে কৃষকরা দেশে কৃষি কাজ সম্পূর্ণ ছেড়ে দেবে। এবং নতুন কর্মসংস্থানের বিকল্পগুলি খুঁজবে। অর্থাৎ কৃষকদের চাষের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং মোহভঙ্গ হবে। কৃষকরা তাদের ক্ষেতে কিছু চাষ করবে ফলে পৃথিবীতে সবজি ও ফলের ঘাটতি দেখা দেবে এবং মূল্যস্ফীতি দিন দিন বাড়বে।
দুটি সূর্যের আবির্ভাব ঘটবে
কয়েক বছর আগে কলম্বিয়ার একটি গ্রামে দুটি সূর্যোদয়ের দৃশ্য নিয়ে গোটা বিশ্বে নানা হৈ হৈ কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন যে এটি একটি স্বর্গীয় দেহ বা ধূমকেতু। কিন্তু ভবিষ্য মলিকায় আগেই বলা হয়েছে যে কলি যুগ শেষ হওয়ার আগেই নাকি আকাশে দুটি সূর্য উদিত হবে। এবং সূর্যের মতো উজ্জ্বল একটি অংশ বঙ্গোপসাগরে পড়বে, যার কারণে ওড়িশা পুরো জলমগ্ন হবে।
অন্ধকারে ডুববে গোটা পৃথিবী
ভবিষ্য মলিকা থেকে জানা গিয়েছে ২০২২ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে ভয়ংকর একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটবে, যার কারণে পৃথিবীতে টানা ১ সপ্তাহ অন্ধকার থাকবে। এই ঘটনা যেকোন সময় ঘটতে পারে। আর ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে।