ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বেশিরভাগ পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের জায়গা হল পাহাড় এবং পাহাড়িয়া অঞ্চল। তাইতো ছুটি পেলেই টিকিট কেটে সোজা পাহাড়ে চলে আশা হয়। কিন্তু পাহাড়ে যেমন মনোরম পরিবেশ দেখতে পাওয়া যায় ঠিক ততই ভয়ংকর হয়ে ওঠে মাঝে মাঝে। স্যাঁতস্যাঁতে এই এলাকায় সবসময় ভয়ংকর সাপ ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। আর আগে বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল এমন খবর। সম্প্রতি ফের কিং কোবরার সন্ধান মিলল।
কোথায় মিলেছে কিং কোবরা?
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ধান চাষের জমিতে কাজ সেরে বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন ময়নাগুড়ি রামশাই অঞ্চলের শিবগাড়া বস্তির কৃষকরা। সেখানেই আচমকা তাঁরা লক্ষ করেন জমির ধারে ঝোপ থেকে ফোঁস ফোঁস করে এক ভয়ংকর আওয়াজ আসছে। কৌতূহলবশত তাঁরা সামনে এগোতে থাকেন। আর ঠিক তখনই এক ভয়ংকর দৃশ্যের মুখোমুখি হন তাঁরা। মোবাইলের আলো ফেলতেই দেখেন বিশালাকার একটি কিং কোবরা সাপ কুন্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। তা দেখেই রীতিমতো ভয় পেয়ে যান তাঁরা। সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের দল গরুমারা জাতীয় উদ্যানের রামশাই মোবাইল স্কোয়াডে যোগাযোগ করে।
কীভাবে উদ্ধার করা হল সাপটিকে?
খবর পাওয়া মাত্রই বনকর্মীরা এসে সাপটিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ এবং শনাক্ত করেন। এরপর তাঁরা খবর দেয় ময়নাগুড়ি পরিবেশ প্রেমী সংস্থার সম্পাদক নন্দু রায়কে। খবর পেয়ে তিনিও যান সেখানে। এলাকায় ভিড় দেখতে পেয়ে সাপ ধরার আগে কিছুক্ষণ সচেতনতা প্রচার করেন। এরপর বনকর্মী ও পরিবেশ কর্মীদের যৌথ ভাবে প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় সেই ১৩ ফুট লম্বা কোবরা সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে বনকর্মীদের হাতে তুলে দেন। পরে সাপটির শারীরিক পরীক্ষার পর গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে নন্দু রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “কিং কোবরা সাপটি প্রায় ১৩ ফুট লম্বা ছিল। আমরা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। সাপটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সুস্থ থাকায় তাকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।“