ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাগের ক্ষোভে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। নারকীয় সেই ঘটনায় তার পরের দিনই ব্লুটুথ ডিভাইস এর ছেঁড়া অংশ চিহ্নিত করে একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তদন্তের বেগতিক দেখে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা CBI এর হাতে।
আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আপাতত অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় এর। আপাতত CBI হেফাজতে রয়েছে সে। কিন্তু তাঁর পক্ষে আইনি লড়াই করার জন্যে কোনও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছিল না। বিপাকে পড়েছিল CBI। তবে অবশেষে জানা গিয়েছে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের হয়ে এবার আদালতে সওয়াল জবাব করবেন বছর ৫২-র মহিলা আইনজীবী কবিতা সরকার। যার দরুন এইমুহুর্তে তাঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব। আজ শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয়কে পেশ করা হলে তার হয়ে যুক্তি সাজাবেন কবিতা সরকার।
কর্মজীবনে কেস হিস্ট্রি!
সূত্রের খবর, স্টেট লিগাল সার্ভিস অথরিটির আইনজীবী কবিতাদেবী দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তিনি আলিপুর কোর্ট থেকে তার কর্মজীবন শুরু করেন, যেখানে তিনি দেওয়ানী মামলা লড়তেন। এরপর তিনি সাউথ এশিয়ান লিগ্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন এবং ফৌজদারি মামলা লড়তে শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের জুন মাসে শিয়ালদহ আদালতে আইনি লড়াই করেছেন।
কী বলছেন সঞ্জয়ের আইনজীবী?
কিন্তু এত বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত থাকলেও জীবনের সবচেয়ে কঠিন কেসটা ৫২ বছর বয়সে এসে লড়তে হচ্ছে। যদিও এই কথা অকপটে তিনি স্বীকার করেছেন যে এটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন কেস। এই প্রসঙ্গে কবিতা সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমিও বাকিদের মতো নির্যাতিতার বিচার চাই। তবে আমার জন্যে বিচার হয়, যখন আদালতে আইনি লড়াই সম্পন্ন হয়। তার আগে না। এই দেশে সবারই আইনি অধিকার আছে। সবারই নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে। অভিযুক্তরও সেটা আছে। আর এখানে আমাকে আমার কাজ করতে হবে।’