ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অনেকেরই ইচ্ছা হয় কাজের লম্বা বিরতি নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসার। তবে সেক্ষেত্রে কোনো ট্রেন বা বিমান মাধ্যমে নয়, একেবারে লং ড্রাইভে করে পছন্দের জায়গায় ঘুরে আসতে ভীষণ ইচ্ছা হয়। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও উপায় থাকে না। তবে এবার সেই ইচ্ছাও পূরণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের অন্দরে ভারতীয় রেল যেভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জাল ছড়াচ্ছে সেক্ষেত্রে পিছুপা হচ্ছে না ভারতীয় সড়ক ব্যবস্থা। এক বড় নয়া বিপ্লব সামনে নিয়ে আসতে চলেছে দেশবাসীদের কাছে। এবার কলকাতা থেকে সরাসরি ব্যাংকক এবং ব্যাংকক থেকে কলকাতা আসা যাবে সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে।
ভারতীয় সড়ক ব্যবস্থায় নয়া মোড়
বিশেষ সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিমানের পাশাপাশি এবার সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমেও মানুষ অনায়াসেই কলকাতা থেকে ব্যাংকক যাতায়াত করতে পারবে। শুধু ব্যাংকক নয় ঘুরুঘুরু করতে পারবেন মায়ানমার, থাইল্যান্ডের মতো জায়গাতেও। জানা গিয়েছে মহাসড়কটি ভারতের কলকাতা থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পর্যন্ত সেইসঙ্গে মায়ানমারের মধ্য দিয়ে যাবে, যা উন্নত বাণিজ্য সংযোগ এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও উন্নত হবে।
কতটা এগোল হাইওয়ের কাজ?
ইতিমধ্যেই ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড অংশের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে এসেছে। ১,৩৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়ক তিন দেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। এই ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কের দুটি অংশ মায়ানমারে নির্মিত হচ্ছে। এবং এর মধ্যে একটি হল ১২০.৭৪ কিলোমিটার কালেওয়া-ইয়াগি সড়ক বিভাগ নির্মাণ। এবং অপরটি হল ১৪৯.৭০ কিলোমিটার তামু-কিগন-কালেওয়া সড়ক বিভাগে অ্যাপ্রোচ রোড বরাবর ৬৯টি সেতু নির্মাণ। আশা করা হচ্ছে একবার এই রুট চালু হয়ে গেলে, সেটি কলকাতা এবং ব্যাংককের মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম বিকল্প রাস্তা হয়ে উঠবে। যার ফলে অনেকটাই কমবে ভ্রমণ খরচ।
আরও পড়ুনঃ চিকেন, মটন নাকি বিফ! জানেন কোন মাংসের জনপ্রিয়তা বিশ্বে সর্বসেরা?
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে প্রস্তাব করেছিলেন। প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল তিনটি দেশের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার উন্নতি করা। এছাড়াও হাইওয়েটি তিনটি দেশের অন্যান্য প্রধান শহরগুলির মধ্যে সংযুক্ত হতে চলেছে। ব্যাংকক, ইয়াঙ্গুন, মান্দালে এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করবে এই হাইওয়ে। এছাড়াও ভারতে শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি এবং কোহিমার মতো অবস্থানগুলিকেও সংযুক্ত করা হবে। আশা করা হচ্ছে এই মহাসড়কটি ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।