ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দেশের ন’টি রাজ্যের ১২টি রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। অসম, বিহার, মহারাষ্ট্রের দু’টি করে এবং হরিয়ানা, তেলঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ত্রিপুরা, এবং ওড়িশার একটি করে আসন ছিল সেই তালিকায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনও আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হল না এবার। অবশেষে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেরল বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA শিবির। ফিরে পেল তাঁদের হারানো জমি।
ফের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে বিজেপি!
গত মঙ্গলবার উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন বিজেপি-র নয় জন প্রতিনিধি। পাশাপাশি NDA শিবিরের আরও দুই প্রতিনিধি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলেন। যে ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নবনির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন হলেন কংগ্রেস প্রার্থী। এর ফলে বিরোধী সদস্যের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫। উল্লেখ্য, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ২৪৫।
যদিও বর্তমানে ৮টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি আসন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য এবং বাকি চারটি মনোনীত সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত। অর্থাৎ বর্তমানে রাজ্যসভার মোট আসন সংখ্যা ২৩৭। সেই কারণেই বর্তমান ম্যাজিক ফিগার ১১৯। ৯ বিজেপি প্রার্থী এবং দুই NDA জোটসঙ্গী প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় বর্তমান ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলল শাসক শিবির। অন্যদিকে এইমুহুর্তে বিজেপি-র সাংসদ সংখ্যা হল ৯৬, NDA জোটের ১২১।
নয়া রাজ্যসভার সাংসদদের তালিকা
বিজেপি-র যে প্রতিনিধিরা রাজ্যসভার সাংসদ হলেন, তাঁরা হলেন, অসমের রঞ্জন দাস, রামেশ্বর তেলি, বিহারের মানন কুমার মিশ্র, হরিয়ানার কিরণ চৌধরি, মধ্যপ্রদেশ থেকে জর্জ কুরিয়ান, মহারাষ্ট্রের ধৈর্যশীল পাটিল, ওড়িশার মমতা মোহান্ত, রাজস্থানের রবনীত সিংহ বিট্টু, ত্রিপুরার রাজীব ভট্টাচার্য। NCP থেকে মহারাষ্ট্রের নিতিন পাটিল এবং RLM-এর উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিহার থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। কংগ্রেস থেকে প্রবীণ নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তেলঙ্গানা থেকে ফের সাংসদ হলেন।
আরও পড়ুনঃ ‘ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা’, আরজি করের প্রতিবাদে রাজ্যের ৫০ হাজার ফেরাল মালদার নাট্যদল
তবে রাজ্যসভায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যসভায় বিল পাশের ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবির এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। তার পিছনে রয়েছে দুইটি প্রধান কারণ। প্রথমত কাশ্মীর থেকে বিরোধী প্রার্থী নির্বাচিত হলে রাজ্যসভার ভোল বদলে যাবে। অপরটি হল, লোকসভায় মতো রাজ্যসভাতেও শরিকদের ওপর নির্ভর থাকতে হবে BJP-কে। আর ফলে পরিসংখ্যান ফের বদলে গেলে শাসকদলের প্রস্তাবিত একাধিক বিল আটকে যেতে পারে সংসদের উচ্চকক্ষে।