দেশবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতের রেশন ব্যবস্থা চালু হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। মূলত পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম থেকে এই বিরাট রেশন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রেশন কার্ড হোল্ডাররা নির্দিষ্ট রেশন দোকান থেকে চাল, গম, চিনি, ও কেরোসিন তেল পেয়ে থাকেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে এই সামগ্রী আবার পরিবর্তিতও হয়।
এবার ভারতের রেশন কার্ডধারীদের জন্য রেশন কার্ডের E-KYC বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজটি করে নিতে হবে। এটি না করলে আপনার রেশন কার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। রেশন কার্ডের E-KYC-র মাধ্যমে সরকার রেশন কার্ডের মাধ্যমে উপভোক্তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করবে। সেই সঙ্গে ভুয়ো ও ডুপ্লিকেট কার্ড বাতিল করা হবে। তাই ৩০ শে সেপ্টেম্বর তারিখটি আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে।
কেন রেশন কার্ডের E-KYC করা বাধ্যতামূলক?
(১) E-KYC প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারের কাছে উপভোক্তাদের সঠিক তথ্য থাকবে, যা রেশন বিতরণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনবে।
(২) E-KYC-র মাধ্যমে ভুয়ো বা বেআইনি উপায়ে তৈরি রেশন কার্ড শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
(৩) যাতে সরকারি রেশন শুধুমাত্র প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছেই পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করবে E-KYC। ফলে সরকারি সম্পদের অপচয় আটকানো সম্ভব হবে।
(৪) E-KYC করা থাকলে নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন, সংশোধন, বা রেশন কার্ড স্থানান্তরের কাজ দ্রুত ও সহজে করা সম্ভব হবে।
কিভাবে রেশন কার্ডের E-KYC করাবেন?
(১) অনলাইন পদ্ধতি: সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। সেখানে E-KYC করার জন্য নির্ধারিত ফর্মটি পূরণ করুন। এবার যে পেজ খুলবে সেখানে নির্দিষ্ট স্থানে আপনার আধার নম্বর ও রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর টাইপ করুন। এবার OTP-র মাধ্যমে আপনার মোবাইল নম্বর যাচাই করুন। এরপর সব প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে লিখুন। এটি করলেই আপনার E-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
(২) অফলাইন পদ্ধতি: অফলাইনে কাজটি করাতে চাইলে আগে নিকটস্থ রেশন দোকান বা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরে যান। সঙ্গে আপনার রেশন কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে যান। সেখানে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা চোখের স্ক্যানের মাধ্যমে E-KYC করা হবে। বাকি কাজ ওখানেই হয়ে যাবে।