বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের একটি সেমি-হাই-স্পিড ট্রেন। এটি ভারতীয় রেলওয়ের অন্যতম আধুনিক এবং দ্রুততম ট্রেন। এই ট্রেন ঘন্টায় ১৮০ কিমি বেগে চলতে সক্ষম, তবে সাধারণত ঘন্টায় ১৩০-১৬০ কিমি গতিতে চলে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে স্বয়ংক্রিয় দরজা, জিপিএস-নির্দেশিত তথ্য ব্যবস্থা, উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, এবং আরামদায়ক সিট সহ বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে দেশের অনেক রুটে চলছে এই ট্রেন।
আর এবার পশ্চিমবঙ্গের রেল যাত্রীদের জন্য এসে গেল এক বড়সড় সুখবর। কারণ ফের একটি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হচ্ছে, যেটি ছুটবে রাজ্যের একাধিক জেলার উপর দিয়ে। ভারতীয় রেলওয়ে আগামী ১৫ ই সেপ্টেম্বর থেকে টাটা-ব্রহ্মপুর এবং টাটা-পাটনা রুটে দুটি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতে চলেছে। ওইদিন এই একজোড়া ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কোন কোন রুটে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?
রেল সূত্রে জানা গেছে, টাটানগর থেকে টাটা-পাটনা এবং টাটা-ব্রহ্মপুরের রুটে এই একজোড়া নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হতে চলেছে। এর মধ্যে টাটা-বহমপুর রুটের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলবে চাইবাসা হয়ে। এমন পরিস্থিতিতে চাইবাসা রুটে প্রথমবারের জন্য প্রিমিয়াম ট্রেন ছুটবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সাধারণ ট্রেনের তুলনায় অনেক দ্রুতগামী। এখন টাটানগর হয়ে ব্রহ্মপুর বা পাটনা যেতে চাইলে এই ট্রেন ব্যবহার করে সময় বাঁচাতে পারবেন যাত্রীরা। সাধারণত যেখানে যাত্রা ৮-১০ ঘণ্টা লাগতে পারে, সেখানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তা ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে পারে।
কোন কোন স্টেশনের উপর দিয়ে ছুটবে নতুন ট্রেন ?
টাটা-ব্রহ্মপুরের রুটে যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি টাটানগর থেকে রাজখারসাওয়ান, চাইবাসা, ডাংওয়াপোসি, বাঁশপানি, কেন্দুঝাড়গড়, হরিশচন্দ্রপুর, সুকিন্দা রোড, কটক, ভুবনেশ্বর, খোরধা রোড হয়ে জখাপুরা হয়ে ব্রহ্মপুরে পৌঁছাবে। অন্যদিকে টাটা-পাটনা রুটের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুরুলিয়া, আসানসোল, জাসিডিহ, কিউল, বখতিয়ার হয়ে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন ট্রেনে কতটা সুবিধা পাবেন রাজ্যের রেলযাত্রীরা?
নতুন একজোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যে টাটা-পাটনা রুটের ট্রেনটি ছুটবে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্টেশনের উপর দিয়ে। ট্রেনটি পুরুলিয়া ও আসানসোল স্টেশনে থামতে পারে। ফলে বিরাট সুবিধা পাবেন রাজ্যের এই অংশের যাত্রীরা। একইসঙ্গে, কলকাতা ও হাওড়া থেকে আসা যাত্রীরা টাটানগর হয়ে দ্রুততার সাথে ওড়িশা ও বিহারের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে পৌঁছাতে পারবেন। এটি পশ্চিমবঙ্গের সাথে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সংযোগ আরও মজবুত করবে।