ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ৯ আগস্ট আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। বিচার এখনও অধরা। কিন্তু হাল ছাড়া যাবে না। তাইতো এত বিক্ষোভ, মহামিছিল এবং মেয়েদের রাত দখলের লড়াই চলছে। দাবি এক দফা এক তিলোত্তমার বিচার চাই। তাইতো ‘আলোর পথে’ নেমেছে কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। দফায় দফায় বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিলে পা বাড়িয়েছে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। কিন্তু সাধারণ মানুষের এই বিক্ষোভ মিছিলকে কিছুতেই হজম করতে পারছে না শাসক দল।
বিক্ষোভ মিছিল এলাকা জুড়ে
গত সোমবার আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল CBI। যার দরুন কিছুটা চওড়া হাসি হেসেছিল সাধারণ মানুষ। তবে এখানেই থেমে থাকেনি। আর সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চেয়ে পথে নামলেন হাজারও মানুষ। তেমনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও উঠছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে। আর এই আবহেই এবার আরজি করের বিচার চাইতে সাধারণের এক বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব দেখাল শাসকদল তৃণমূলের একাংশ।
প্রতিবাদীদের পেটাল তৃণমূল!
ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা এলাকায়। সেখানকার সাধারণ মানুষ আরজি করের বিচার চেয়ে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে পথে নেমেছিল। কিন্তু এক মুহূর্তেই সেই শান্তিপূর্ণ মিছিলকে অশান্ত করে তুলল শাসকদল তৃণমূল। শুধু তাই নয় প্রতিবাদীদের ধরে ধরে পেটানোর পাশাপাশি ব্যানার এবং পোষ্টারগুলিও ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হল এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে দিল। তিলোত্তমার বিচার চাওয়ার প্রসঙ্গ সূত্রেই আক্রমণকারী তৃণমূলের দাবি মণিপুরে মেয়েদের নগ্ন করার সময় কোথায় ছিল সবাই। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দিল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত শুনানির দিকে নজর ছিল প্রত্যেকের। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধেবেলায় শীর্ষ আদালতের তরফে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অনুপস্থিত থাকায় তাঁর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে কোনও নির্ধারিত মামলার শুনানি হবে না। তবে শীর্ষ আদালতের আগের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আরজি করের তদন্ত নিয়ে একটি রিপোর্ট আজই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবে CBI।