ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা দেখতে দেখতে ২৭ দিনের মাথায় পৌঁছে গেল। কিন্তু তিলোত্তমার এখনও কোনো সুবিচার পাওয়া গেল না। চারিদিকে আবহাওয়া গরম। ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। আর এই আবহেই গত সোমবার রাতেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪। পরের দিন গত মঙ্গলবার তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকিদের ৮ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই সূত্রেই এবার ED হানা করল তাঁর বাড়ি।
সাতসকালে সন্দীপ মহলে ED!
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে ঘড়ির কাঁটায় ঠিক যখন ৬ টা বেজে ৪০ মিনিট তখনই সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়ির সামনে হাজির হন ED আধিকারিকরা। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু সকাল সকাল ED র টিম পৌঁছলেও বাড়ির বিরাট কালো গেটে ঝুলছিল বড়সড় তালা। এরপর লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় ইডির টিমকে। বাড়ির গেটের বাইরে মোতায়েন ছিল CRPF। অবশেষে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর চাবি নিয়ে আসেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ। ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা।
বিস্ফোরক মন্তব্য সন্দীপ স্ত্রী এর
কিন্তু এদিন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা দেবীর বেশভূষা ছিল অন্যরকম। মুখে মাস্ক পরে, শাড়ির আঁচলে মাথা পুরো ঢেকে, চোখে সানগ্লাস পরে আসেন গেট খুলতে। কিন্তু এসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয় তাঁর। ফেটে পড়েন সঙ্গীতা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “সব মিথ্যা! প্রমাণ হওয়ার আগে কাউকে ভিলেন বানিয়ে দেবেন না।” এছাড়াও তিনি বলেন, “ কাগজে কিছু পাওয়া যায়নি। কিছু পাবেনও না। আমার স্বামী কিছু করেননি।”
জানা গিয়েছে, আরজি করের নানা দুর্নীতির একাধিক নথি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে ED। তাইতো সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে সকাল সকাল হাজির হয়েছে ED। সন্দীপের বাড়ি ছাড়াও হাওড়ার বিপ্লব সিংহ, কৌশিক কোলে ও সুভাষগ্রামে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশিতে ইডি। উল্লেখ্য, চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিপ্লব সিং। তাঁরই ঘনিষ্ঠ কৌশিক কোলে। অন্যদিকে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। তিনিও সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।