ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আজ সকাল থেকেই কলকাতার একাধিক এলাকায় ED হানা দিয়ে চলেছে। আরজি কর কাণ্ডের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ আরও ৪ জন। এবার সেই অভিযোগেই আজ সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ প্রথমে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকেরা। প্রায় ৩ ঘণ্টার অপেক্ষার পর সন্দীপের বাড়িতে ঢোকেন ইডির আধিকারিকেরা। এখনও সেখানে তল্লাশি অভিযান চলছে। বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এবার সন্দীপের শ্বশুর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ED।
সন্দীপের শ্বশুরবাড়িতে হান ED-র!
সূত্রের খবর, প্রথমে সকাল ৭টা নাগাদ ED র একটি দল চন্দননগরের পাদ্রিপাড়ায় মেরিমাঠ সংলগ্ন এলাকার সন্দীপের শ্বশুরবাড়ি যান। কিন্তু সেখানে তালাবন্ধ ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শ্বশুরের নাম রামকৃষ্ণ দাস। সন্দীপের শ্বশুরবাড়ির পরিবার চন্দননগরে থাকে না। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ও সেখানে যায়। কয়েকদিন থাকার পরই সেখান থেকে চলে আসে। বর্তমানে রামকৃষ্ণ দাসের পরিবার থাকে কলকাতায়। বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খোলেননি। তখনই তদন্তকারীরা গাড়ি ঘুরিয়ে চন্দননগর থেকে বৈদ্যবাটি চলে আসেন। সকাল ৯টা নাগাদ ED র আধিকারিকেরা পৌঁছন কুণালের বাড়িতে।
কুণালের বাড়িতেও ED র হামলা
সেখানেও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে দরজা খুলে দেন কুণাল নিজেই। প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, কুণাল কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযানে আসায় অবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে কুণালের এক আত্মীয় সুবীর দাস এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে কুণালও মেডিক্যাল লাইনে কাজ করতেন। তবে এর বেশি তথ্য তাঁর কাছে জানা নেই।
এছাড়াও ED আজ সকালে একইসঙ্গে হাওড়ায় তল্লাশি চালাচ্ছে। বিপ্লব সিংহ এবং কৌশিক কোলের বাড়িতেও চলছে চিরুনি তল্লাশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ED হামলা করেছে । ইডির তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। মূলত আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্যই তাদের এই তল্লাশি অভিযান।