ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ৯ আগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসক এর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। সঙ্গে সেই একই পথে নেমেছে রাজ্যের শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রতিবাদের নামে অনির্দিষ্টকাল ধরে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি একদমই মেনে নিতে পারছে না শীর্ষ আদালত। এবার তাঁদের কাজে ফিরতেই হবে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল অর্থাৎ সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের এমন কড়া বার্তা পেয়ে কার্যত হতাশ হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর আগে রাজ্যের তরফে বারবার কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদনেও সাড়া দেননি। তবে এবার জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেরাই আরও এক শর্ত দাবি করলেন। চাপে আরও পড়ল রাজ্য সরকার।
জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠক
গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত্রি এগারোটায় চিকিৎসক পড়ুয়ারা একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। আর সেই বৈঠকে জানানো হয়েছে আজ দুপুর বারোটা নাগাদ করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে কোনো ভাবে যদি এই অভিযান রাজ্য সরকার অথবা পুলিশ আটকাতে চায় তার ফল কী ভয়ংকর হবে তাও সাফ জানিয়েছেন তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, ‘সরকার যদি আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আটকাতে চায় তাহলে যে জিনিস আপনারা লালবাজারের সময় দেখেছেন, সেই একই জিনিস আবার দেখবেন।’
আরও চাপে রাজ্য সরকার
এছাড়াও এই বৈঠকে রীতিমত রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন জানিয়ে দিয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন যে, ‘আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিতে চাই মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্য সরকার যদি আমাদের এই দাবিগুলো মিটিয়ে দেয়, তবেই আমরা কর্মবিরতি প্রসঙ্গ নিয়ে ভেবে দেখতে পারি।’ এর পাশাপাশি, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থার অভিযোগ করে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তারা। নিঃশর্তে এই আন্দোলনে পাশে থাকবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা।
এর আগে পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা-সহ বিভিন্ন দাবিতে লালবাজার অভিযান করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এছাড়াও পাঁচ দফা দাবির পাশাপাশি এ বার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফাও চেয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গতকাল রাতে জুনিয়র চিকিৎসদের তরফে ডাকা বৈঠকে জানানো হয় যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে যেভাবে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে তার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করতেই হবে।