ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত মাস থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা ঘিরে রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের তীব্র প্রতিবাদ ও জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে উথাল পাথাল পরিস্থিতি। আর এই আবহেই সামনেই বাঙালির শেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। তাই সেই বিষয়ে গতকাল অর্থাৎ সোমবার বেশ কিছু নিয়ম নির্দেশ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা চলে দীর্ঘদিন পরে গতকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। আর বৈঠকে বসেই কড়া বার্তা দেওয়া হল রাজ্যের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
নবান্ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী!
গতকাল অর্থাৎ সোমবার নবান্নে রাজ্যের সব দফতর ও জেলা প্রশাসনকে নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন পর এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের সচিব, মন্ত্রী এবং বিশেষ সচিবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এবং ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনাররাও অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন দফতরের বৈঠকের মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে পুজোর সময় যেন অফিসাররা ছুটি না চান। আগে দুর্গাপুজো-সহ বিভিন্ন উৎসবের মরশুমে ঠিকভাবে কাজ সামলাতে হবে কর্মীদের।
আসলে প্রত্যেকবার দুর্গাপুজোর সময় রাজ্য, সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি লম্বা ছুটির তালিকা ঘোষণা করে দেন। এবারেও তাই হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি আছে। ৭ অক্টোবর পড়েছে চতুর্থী। আর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো পড়েছে ১৬ অক্টোবর। অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর জন্যও বাড়তি ছুটি দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় কালীপুজোর জন্য ছুটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
সরকারী কর্মীদের লম্বা ছুটি!
জানা গিয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর কালীপুজোর জন্য ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এছাড়াও আগামী ১ নভেম্বর এবং আগামী ৪ নভেম্বরও ছুটি আছে। কালীপুজোর পরদিন হওয়ায় ১ নভেম্বর, শুক্রবার ছুটি দেওয়া হয়েছে। আর ভাইফোঁটার পরদিন অর্থাৎ ৪ নভেম্বর ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আমি প্রত্যেকটা অফিসারকে বলব, পুজোর আগে দয়া করে কেউ ছুটি চাইবেন না। উৎসবের দিনগুলো পার করতে দিন।’
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের বর্ডারে নদীতে ভাসছিল রহস্যময় ব্যাগ, উদ্ধার করে যা মিলল! চোখ ছানাবড়া BSF-র
তাই ছুটির আগে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। উৎসবের মরশুমে কোন কোন বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে রাজ্যের আমলা, অফিসার এবং সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশ দেন। এর আগে গত শনিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ একটি কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। সেখানে সরকারি কর্মীদের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে পড়া পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং পানীয় জলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।