সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান ঠেকাতে অভিনব পন্থা প্রয়োগ করল BSF। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেনি যে দেশের সুরক্ষার স্বার্থে সীমান্তরক্ষা বাহিনী এমন কোনো উদ্যোগ নেবে। বিগত কয়েক বছর ধরে সে বাংলাদেশ হোক কিংবা পাকিস্তান, অবৈধ অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে চোরাকারবারিদের রমরমা বেড়েই চলেছে। এদিকে বাংলাদেশে অচলাবস্থার মধ্যেও সীমান্তে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সজাগ রয়েছে বাহিনী। এসবকিছুর মাঝেই এবার নয়া ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে বিএসএফকে।
সীমান্তে মৌমাছি মোতায়েন BSF- র!
গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কাদিপুর গ্রামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বিএসএফের ১০-১২ জন জওয়ান। তাঁদের পরনে ছিল জাল স্যুট। মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। এই কমান্ডোরা সকলেই সশস্ত্র, তবে অস্ত্র হাতে নয়, মৌচাক এবং মৌমাছি থেকে বাঁচতে পোশাক ও জিনিসপত্র নিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে জওয়ানদের। আসলে অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে চোরাকারবারিদের রুখতে সীমান্তে মৌমাচ্ছিকে মোতায়েন করল বিএসএফ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন এই বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে।
নতুন বুদ্ধি জওয়ানদের
বিএসএফ-র এহেন বুদ্ধিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। সীমান্তে মোতায়েন থাকা বিএসএফ জওয়ানরা শিখছিলেন কিভাবে মৌমাছি পালনকারী হতে হয় বা এর থেকে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষা করতে হয়। নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক স্থাপন করেছে বিএসএফ বলে খবর। সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকটি মৌ-বাক্স ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বড় তথ্য দিয়েছে বিএসএফ। ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, ‘এক বছরেরও কম সময় আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমরা মৌমাছি পালন করা শুরু করি। এটি ছিল গ্রাম উন্নয়নে সরকারের একটি প্রকল্প। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়। যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের উপর আক্রমণ করবে।আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।’