মুম্বইঃ কয়েকদিন আগেই ছাত্র বিক্ষোভ জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশ। সরকারের বিরুদ্ধে কোটা বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে শেষমেষ একপ্রকার বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পতন হয় দীর্ঘ ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসন। বর্তমানে ওপার বাংলায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্ববর্তী সরকার গঠন হয়েছে। কিন্তু ভারত এবার এমন এক হুঁশিয়ারি দিল যারপরে বাংলাদেশের সরকার তথা মানুষের রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে। কালো কুচকুচে অন্ধকারে ঢেকে যেতে পারে ওপার বাংলা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
সতর্ক করল আদানি গ্ৰুপ
আসলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে এবার সতর্কতা জারি করল আদানি গ্ৰুপ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন হয়েছে গিয়েছে যে, না গিলতে পারছে না উগরাতে পারছে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী হয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, বিদ্যুৎ সরবরাহের বকেয়া পরিশোধ না করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করেছে আদানি পাওয়ার।
বকেয়া রয়েছে ৪২০০ কোটি টাকা!
জানলে অবাক হবেন, কয়েক কোটি টাকা পাবে আদানি গ্ৰুপ। এই নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে কোম্পানির তরফে। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে। আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ঝাড়খণ্ডের গোন্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। আদানি পাওয়ার প্ল্যান্টের ১৬০০ মেগাওয়াট গোন্ডা প্ল্যান্ট থেকে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে বাংলাদেশে কোটা বিরোধী হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে অর্থ পরিশোধ করেনি। আদানিরই কয়েক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেনি বাংলাদেশ। আর এই পরিমাণ ৪২০০ কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে, এবং তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানকার সরকারকে এই পেমেন্ট পরিশোধ করতে বলেছে আদানি পাওয়ার।
ব্ল্যাকআউট হওয়ার পথে বাংলাদেশ!
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কী ব্ল্যাকআউট হওয়ার পথে বাংলাদেশ? অন্ধকারে ঢেকে যাবে দেশ? আশঙ্কা তেমনই করা হচ্ছে। যদিও উল্টো সুর শোনা গিয়েছে আদানি গ্ৰুপের গলায়। আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপ সত্ত্বেও তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। পেমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।