কলকাতাঃ সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ একটি বৃত্তিমূলক প্রকল্প, যা সীতারাম জিন্দাল ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হয়। এই স্কলারশিপের লক্ষ্য ভারতের প্রতিভাবান এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর শিক্ষার সুবিধা প্রদান করা। বিশেষ করে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে সহায়তা করা এবং তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করা এই স্কলারশিপের মূল উদ্দেশ্য।
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপের অধীনে বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পর্যায় অনুযায়ী বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রধান পাঁচটি বিভাগে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সব স্তরের পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ উপলব্ধ। তবে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু মানদণ্ড রয়েছে।সঠিক যোগ্যতা থাকলেই এই স্কলারশিপ পাওয়া যায়। তাহলে এই স্কলারশিপের সম্পর্কে একটু বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপের বিভাগ
(১) A বিভাগ: নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারে। এক্ষেত্রে ছাত্রদের জন্য আবশ্যক ন্যূনতম নম্বর ৬৫% এবং ছাত্রীদের জন্য ৬০%।
(২) B বিভাগ: উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) বা সমমানের কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য। এক্ষেত্রে ছাত্রদের জন্য আবশ্যক ন্যূনতম নম্বর ৬৫% এবং ছাত্রীদের জন্য ৬০%।
(৩) C বিভাগ: আইটিআই বা ডিপ্লোমা কোর্সের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এক্ষেত্রে ছাত্রদের জন্য আবশ্যক ন্যূনতম নম্বর ৫০% এবং ছাত্রীদের জন্য ৪৫%।
(৪) D বিভাগ: স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য যেমন B.A, B.Com, B.Sc, ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ছাত্রদের জন্য আবশ্যক ন্যূনতম নম্বর ৬৫% এবং ছাত্রীদের জন্য ৬০%।
(৫) E বিভাগ: কারিগরি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, এমবিএ এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ুয়াদের জন্য। এক্ষেত্রে ছাত্রদের জন্য আবশ্যক ন্যূনতম নম্বর ৭৫% এবং ছাত্রীদের জন্য ৭০%।
স্কলারশিপ হিসেবে কত টাকা পাওয়া যায়?
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপে বৃত্তির পরিমাণ বিভিন্ন শ্রেণী ও কোর্সের ওপর নির্ভর করে। বৃত্তির পরিমাণ বার্ষিক ৫০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও, স্কলারশিপের মেয়াদ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত চালু থাকে। যদি তারা শিক্ষাগত যোগ্যতা বজায় রাখতে পারে, তাহলেই টাকা পাওয়া যাবে।
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপের আবেদনের প্রক্রিয়া
এই স্কলারশিপের জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করতে পারে। এর জন্য প্রথমেই সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং প্রিন্ট আউট করিয়ে নিতে হয়। এবার সংস্থার ঠিকানায় আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি এবং এর সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট, এবং একটি সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হয়। আবেদন করার সময় কোনও আবেদন ফি দিতে হবেনা।
স্কলারশিপের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচনের মানদণ্ড
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য প্রধানত শিক্ষাগত পারফরম্যান্স এবং পারিবারিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়। সাধারণত পরিবারের বার্ষিক আয় গ্রামীণ এলাকায় ২.৫ লক্ষ টাকার নিচে এবং শহুরে এলাকায় ৩ লক্ষ টাকার নিচে হতে হবে। এই বৃত্তির জন্য আবেদন সারাবছর করা যেতে পারে। কোনও নির্দিষ্ট ডেডলাইন নেই, তবে শিক্ষার্তীর বর্তমান শিক্ষাবর্ষ চলাকালীন আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে।